বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ---১৪/০৯ / ২০১৬ স্থানঃ—ঘোড়শালা*
মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে ভারতীয় নারীদের চরিত্র সীতার
ন্যায় উজ্জ্বল রূপে গড়ে তোলার প্রেরণা দিতে হবে।]
লক্ষ্মীর স্বভাব চঞ্চল কিন্তু লক্ষ্মীরূপিনী সীতাদেবী ধীর- স্থির
স্বামীভক্ত ভারতীয় নারী। আদর্শ ভারতের পুরুষ রামচন্দ্রের পাশে আদর্শ নারী সীতা
উজ্জ্বল প্রভায় আলোকিত। সীতা ভারতের নারীর আদর্শ হয়ে রয়েছেন—পতিভক্ত ও পবিত্রতায়
তাঁর মতো কেউ নেই। তাছাড়া তিনি রাজকন্যা- রাজপুত্রবধু—রাজরানী হয়েও স্ত্রী ধর্মে
নিজ হাতেই সংসারের গৃহ- কর্মের সমস্ত কাজ করতেন—এটাই ভারতীয় নারীর আদর্শের উন্নত
দিক। তিনি নিজে আচরণ করে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন নারীর ধর্ম রক্ষা করে কিভাবে সংসারে
দায়িত্ব পালন করতে হয়। তাঁর কিছুরই অভাব ছিল না, দাস- দাসী তো কতই ছিল কিন্তু তিনি
কখনো পরনির্ভরশীল ও পরমুখাপেক্ষী হয়ে সংসারে থাকতেন না। তিনি নিজে হাতে গৃহের ছোট-
বড় সমস্ত প্রকার কাজ করে সেই সমস্ত কাজকে মর্যাদা দিতে শিক্ষা দিয়ে গেছেন। তাঁর
প্রভাববশতঃ আজও ভারতের নারীরা শুদ্ধ, পবিত্র ও কর্মঠ রয়েছেন নিজ নিজ সংসারে ও দেশের
জন্য। পশ্চিমের বিলাসিতা ও ভোগের আক্রমণ থেকে ভারতীয় নারীদের এখনো তিনি রক্ষা করে
চলেছেন। সীতাদেবী নারীদের অন্তরের বিশ্বাস- ভক্তি- শ্রদ্ধা- শীলতা- মধুরতা ও
পবিত্রতা জাগিয়ে তুলছেন। তাই রামচন্দ্রের পাশাপাশি মা সীতা ভারতের আলো, জগতের আলো
এবং সবার হৃদয়ের আলো। জয় সীয়ারাম ।