বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—০৭/০৮/ ২০১৬ স্থানঃ
ঘোড়শালা* মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ- [ বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে তোমরা পরস্পর পরস্পরকে
পরীক্ষা করে নিয়ে তবেই বিশ্বাসের আসনে বসিয়ে বন্ধুরূপে মর্যাদা দিবে।]
তোমরা বেদ প্রচার করতে গিয়ে অনেকের দুশমন
হয়ে যাবে এতে কোন ভুল নেই। আবার অনেক বন্ধু পাবে এতেও কোন ভুল নেই। দুশমন আর বন্ধু
তোমাদেরকে চিনে নিতে হবে বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে পরীক্ষা করেই। এ জগতে সবায় এক পথের
পথিক নয়। যারা বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে নিজের চরিত্রকে সংশোধন করতে চায় না, তারা দেখবে
বেশী করে তোমাদের সাথে মেলা-মেশা করবে এবং তোমাদের উৎসাহকে সমূলে ধ্বংস করার কৌশল
খুঁজবে বন্ধু হয়ে। আগে তাদেরকে চিহ্নিত করে তাদের মিষ্টি- মধুর কথা থেকে নিজেকে
মুক্ত রাখবে। বিশ্ববোধে জাগ্রত হয়ে নিজেকে বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মীরূপে তৈরি না
করতে পারলে কেউ বেদ যজ্ঞ করার অধিকার লাভ করতে পারেনা বেদ ভগবানের নিকট থেকে। তাই
এই পথের পথিক খুব কম পাবে তাই তোমাকে বেশী চিন্তা করতে হবে না সবার কথা ও মন্তব্য
নিয়ে। কেবল নিজের অন্তরের কথার উপর বিশ্বাস রেখে প্রচণ্ড গতিতে এগিয়ে যাবে যাতে
কেউ তোমাকে স্পর্শ করতে না পারে। যারা তোমার সমমাত্রা ও গতি পেয়ে এখানে অবস্থান
করছে ঠিক তাদেরকে সাথীরূপে পেয়ে যাবে এবং যথারীতি পরস্পর পরস্পরকে সামান্য
পরীক্ষার মাধ্যমে চিনেও নিতে পারবে। এ জগতে যারা দুষ্কৃতকারী ও ছদ্মবেশধারী তারাই
হবে বেদযজ্ঞকারীদের দুশমন। তারা কখনো চাইবে না এই পৃথিবীর বুকে সত্যের প্রতিষ্ঠা
হোক—সকল মানুষ শান্তিতে বাস করুক---সবায় একই জ্ঞানের অধিকারী হয়ে উঠুক এবং সকলে
নিজের সৎ- সত্য –সুন্দর ও জ্যোতির্ময় রূপ ফিরে পেয়ে মুক্তির আনন্দে এই পৃথিবিতে
বাস করুক। জয় বেদ যজ্ঞের জয়।