বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—০৪/ ০৮/ ২০১৬ স্থানঃ—ঘোরশালা*
মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ – [ বেদ যজ্ঞ করতে এসে তোমরা সাহসহীন হয়ে পড়ো না।]
যত বেদ যজ্ঞ করবে তত তোমাদের জ্ঞান বেড়ে
যাবে। জ্ঞান বাড়লেই মানুষের সৎ সাহস বেড়ে যায়। সাহসহীন মানুষের ইহকাল- পরকাল বলে কিছু
থাকে না। এই সাহসহীন লোকেরা নিজেরাও ঈশ্বরের পথ থেকে বিরত থাকে, সেই সাথে নিজেদের
আত্মীয়- পরিজনকেও সেই পথ থেকে বিরত রাখে। ফলস্বরূপ তাঁদের বংশধরেরা চিরকাল অজ্ঞ-
অলস- সাহসহীন অবস্থায় থেকে যায়। তারা কিজন্য এই পৃথিবীতে মানুষ হয়ে জন্ম গ্রহণ
করেছে সেই জ্ঞানটুকুও সাহসভরে গ্রহণ করতে এগিয়ে যায় না। তোমরা যারা বেদযজ্ঞ রহস্য
জানো তারা তাদের পাশে গিয়ে সাহস যোগাও—তাদের সামনে সত্যকে তুলে ধরো—তাদেরকে সাহস
ভরে বেদ যজ্ঞে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানাও—দেখবে তোমারা তাদেরকে পাশে পেয়ে
যাবে এবং তোমাদের সাহস শত- সহস্র গুন বেড়ে যাবে। এই ভারতে সবায় বৈদিক যজ্ঞকে
সম্মান করে – শ্রদ্ধা করে – তাই জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এই যজ্ঞকে আশ্রয় করেই
কাল অতিবাহিত করে। তাসত্ত্বেও তারা সাহস ভরে বেদের গুণগান করতে পারেনা। কারণ তারা
সকলেই ভাবে আমি একা—আমাদের মধ্যে কোন ঐক্য নেই। আজ ভারতে ১৩০ কোটি বেদযজ্ঞকারীর
বাস অথচ সাহসভরে কেউ বলতে পারেনা বেদ আমাদের ধর্মগ্রন্থ – বেদ আমাদের জীবন গ্রন্থ-
বৈদিক বিধান মেনে এই ভারতের অধিবাসীদের মর্যাদা দিতে হবে। ভারতে যারা বাস করবেন
তাঁদেরকে ভারতীয় হয়ে ভারতের ধর্মকে মর্যাদা দিয়ে চলতে হবে। বিদেশ থেকে আমদানী করা
কোন ধর্মীয় বা রাজনৈতিক মতবাদ এখানে বিক্রি করা যাবে না প্রকাশ্যে বা চোরাপথে।
সঙ্ঘবদ্ধ শক্তি অর্জন করে সাহস অবলম্বন না করলে ভারতবাসীদের আবার মিথ্যার হাতে
বন্ধী হতে হবে সনাতন সত্যকে বিসর্জন দিয়ে। জয় ভারতমাতার জয়।