বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—২২/ ০৮/ ২০১৬ স্থানঃ-
ঘোড়শালা* মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ---[বেদ যজ্ঞ করেই মানুষকে বেদ ভগবানের চরণে নিজেকে
উৎসর্গ করতে হয় তাঁকে বিশ্বস্বরূপ বলে জেনে।]
বেদ যজ্ঞকালে রঘুকুল শিরোমণি শ্রীরামচন্দ্রকে
স্বয়ং বিশ্বস্বরূপ রূপে জেনে যজ্ঞ করলেই যজ্ঞের শিখা ব্রহ্মাণ্ডব্যাপী সর্বস্থান
আলোকিত করে। বেদ তাঁরই অঙ্গে ত্রিভুবনব্যাপী শোভা পায়। পাতাললোক সেই বিশ্বরূপ
শ্রীভগবানের চরণে, ব্রহ্মলোক মস্তকে আর অন্যান্য লোকসকল তাঁর অঙ্গপ্রত্যঙ্গে
অবস্থান করে। ভয়ংকর কাল তাঁর ভ্রূকুটি চালনা। সূর্য তাঁর নয়ন আর ঘনমেঘরাজি তাঁর
কেশরাজি। অশ্বিনীকুমারদ্বয় তাঁর নাসিকা, দিবা ও রাত্রি তাঁর পলক পড়া, দশদিক তাঁর
কর্ণ। এই সকলই বেদের অভিমত। বায়ু চলাচল তাঁর নিঃশ্বাস আর বেদই তাঁর বাণী। বেদ
যজ্ঞই তাঁর তপস্যা। লোভ তাঁর অধর, যমরাজ
তাঁর ভয়ংকর দন্তরাজি, মায়া তাঁর হাস্য, দিকপালগণ তাঁর বাহু, অগ্নি তাঁর মুখ, বরুণ
তাঁর জিহ্বা। সৃষ্টি- স্থিতি- লয় ক্রিয়া তাঁর কার্যসকল। অষ্টাদশ প্রকারের বনস্পতি
তাঁর রোম, পর্বত তাঁর অস্থিসকল, নদীসকল তাঁর শিরা- উপশিরা, সমুদ্র তাঁর উদর আর নরক
তাঁর অধঃস্থ ইন্দ্রিয়সকল। এইভাবে বেদ ভগবান শ্রীরামচন্দ্র প্রভু বিশ্বময়। এতে তো
কল্পনা কিছু নেই –সবই বেদময়। মহাদেব তাঁর অহংকার, ব্রহ্মা তাঁর বুদ্ধি, চন্দ্র
তাঁর মন ও মহান বিষ্ণু তাঁর চিত্ত। এই বিশ্বচরাচরে পরিব্যাপ্ত শ্রীপ্রভু নরদেহে
শ্রীরামচন্দ্ররূপে আবির্ভূত হয়েছেন এই আনন্দময় বেদযজ্ঞ স্থলে। আমি তাঁকেই সম্মুখে
দেখছি ও তাঁর সাক্ষাতেই বেদ যজ্ঞ করে চলেছি। আমি কিছুই জানি না তিনিই সব জানেন। জয়
শ্রীরাম ।
