বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—২০/ ০৮/ ২০১৬ স্থানঃ—ঘোড়শালা*
মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ- [ বেদ যজ্ঞ করেই তোমরা সত্যদ্রষ্টা কবি-
সাহিত্যিক- বৈজ্ঞানিক হও।]
কবির সম্পদ হল সত্য বাক্য। সাহিত্যিকের সম্পদ
হলো সত্য দর্শন। বৈজ্ঞানিকের সম্পদ হলো সত্য আবিষ্কার। কবি- সাহিত্যিক- বৈজ্ঞানিক
এরা সকলেই সত্যদ্রষ্টা ঋষির মতো। এঁদের সকল কর্মই কাব্যময়, মাধুর্যময় ও
সৌন্দর্যময়। এঁরা বেদ যজ্ঞ করে আপন সুধাময় স্থানে আপনি সর্বদা থাকেন। কখনো নিজের
স্থান থেকে চ্যুত হন না। আর নিজেদের স্থানে থেকে নিজেদের কাজ করতে কারও সাহায্যের
মুখাপেক্ষী এঁদেরকে হতে হয় না। কিভাবে এঁরা ঈশ্বরের সাহায্য- সহযোগিতা লাভ করে
সকলের কল্যাণ করেন তা সাধারণ মানুষের বোধগম্য নয়। তাই যারা বেদ যজ্ঞ শুরু করে জীবন
পথে এগিয়ে যান তাঁরাই সত্যদ্রষ্টা ঋষি হয়ে উঠেন এবং নব নব সৃষ্টির আলোতে জগতকে
আলোকিত করেন। আজ অনেকেই ঈশ্বরের দান কলমকে প্রত্যাখ্যান করেছেন, কিন্তু কলমের
দ্বারাই মানুষকে ঈশ্বর শিক্ষা দিয়ে কবি- সাহিত্যিক- বৈজ্ঞানিক করে তোলেন ও পরম
সত্যকে দর্শন করার জন্য দিব্যজ্ঞান বা দিব্যচক্ষু দান করেন। তাই বেদ যজ্ঞ করতে হয়
কলমের সাহায্যে অন্তরকে খুলে নিয়ে। ঈশ্বর সবার অন্তরে
সূক্ষ্ম ওঁবেদ যন্ত্র দান করেছেন, এই যন্ত্র খুলতে হয় কলমের সাহায্যে এবং এই
যন্ত্রকে পরিচালিত করতেও হয় কলমের সাহায্যে। কবি- সাহিত্যিক- বৈজ্ঞানিকরা তাঁর
প্রতিনিধি হয়ে এই মহাসত্য জানেন। তাই তাঁরা কখনো মিথ্যা সাক্ষী বা ভাষন দিয়ে কলমের
মর্যাদা কলঙ্কিত করেন না। জয় বেদ যজ্ঞের
জয়।