বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ- ০২/ ০৮/ ২০১৬ স্থানঃ—ঘোড়শালা*
মুর্শিদাবাদ* পঃবঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ-[ বেদ হল আনন্দের ধারা, এই আনন্দের জগতে কোন কারো
সাথে বিরোধীতা নাই।]
বেদের আনন্দ জগতকে ধরে রেখেছে। বেদে কং ব্রহ্ম
সুখ, খং ব্রহ্ম শূন্যময় সুখ হলেও উভয়েই ব্রহ্মানন্দকেই ধরে আছেন। খং শব্দটির অর্থ
আকাশ। আমরা বেদে খং এর উপাসনা করে যেমন মহাকাশ তত্ত্ব জেনে পার্থিব জগতের আনন্দ পেতে
পারি, তেমনি আবার সেই মন্ত্র দ্বারা চিদাকাশের
আনন্দময় ব্রহ্মকে জেনে ব্রহ্মানন্দ হয়েও যেতে পারি। ভৌম আকাশের আনন্দ সাময়িক সুখ
দিতে পারে, তাই এই আনন্দ পূর্ণ আনন্দ নহে, যথার্থ আনন্দ নহে। বেদ যজ্ঞকারী ঋষিদের
চিদাকাশ জুড়ে যে পরমানন্দ বিরাজ করে উহাই পূর্ণানন্দ, উহাই প্রকৃত আনন্দ। এই আনন্দ
লাভ হলে ভব-ভয়ে ভীত সংসারে মানব কোন কিছু হতে আর ভীত হয় না। এই সুখ ও আনন্দ অপরকে
পীড়া দেওয়ার জন্য নয়—অপরকেও সেই সুখ ও আনন্দের জগতে নিয়ে যাবার জন্য। অনেকের মত
মাত্র চার জন সাক্ষী পেলেই মিথ্যাও সত্য হয়ে যায়—এখানে এই রূপ দর্শনের কোন স্থান
হয় না। বেদের দর্শন হলো কং ও খং জীবন মন্ত্রের সাধন করেই সেই মন্ত্রের প্রাণ
প্রতিষ্ঠা করে বেদযজ্ঞকারীকে ভুমার ঘরে পৌঁছে চিরস্থায়ী সুখ ও আনন্দের জগতে যেতে
হবে এবং সেখানেই স্থিরভাবে নিজের বাসস্থান নির্মাণ করে নিতে হবে মুক্ত পুরুষ হয়ে। ওঁ কং খং । জয় বেদ যজ্ঞের জয়।