বেদ যজ্ঞ
সম্মেলনঃ—১৯/ ০৮/ ২০১৬ স্থানঃ—ঘোড়শালা* মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ করে সত্যে স্থিত
হও পবিত্র ওঁবেদ যন্ত্র হৃদয় মন্দিরে খুলে যাবে।]
বেদের
মন্ত্র মুখস্থ করলেই বেদকে জানা যায় না। কেবল বেদের মন্ত্র উচ্চারণ করে দেব- দেবীর
পূজা-অর্চনা করলেও বেদকে জানা যায় না। বেদকে জানতে হলে, বেদের রূপকে দেখতে হলে,
বেদের মর্মবাণী শুনতে ও উপলব্ধি করতে হলে অন্তরে যে পবিত্র ওঁবেদ যন্ত্র আছে তাঁকে
খোলার কৌশল শিখে, তা পরিচালনা করার পদ্ধতি জানতে হবে। এই পূজা পদ্ধতি যখন মানুষ
শিখে নিবে তখন ওঁবেদ যন্ত্র থেকে পরপর পূজার বেদ মন্ত্র আপনা-আপনি বের হতে থাকবে।
পুরোহিত তখন বুঝতে পারবেন—আমি যন্ত্র তুমি যন্ত্রী যেমন চালাও তেমন চলি- যেমন বলাও
তেমন বলি। এই নির্বিকল্প অবস্থায় না পৌঁছালে সাধক বেদ তত্ত্বের মর্মজ্ঞ উপলব্ধি
করতে পারবেন না। তাই বেদ যজ্ঞ করে বেদের কথা আগে শুনতে হবে। বেদের কথাকে নিজের
জীবনের সাথে যুক্ত করতে হবে, তারপর সেই কথা বেদ যজ্ঞে আহুতি দিতে হবে। ধীরে ধীরে
যখন ওঁবেদ যন্ত্র অন্তরে খুলে যাবে তখন আমার আমিত্ববোধ কোথায় হারিয়ে যাবে আর খুঁজে
পাওয়া যাবে না। বেদ যজ্ঞের মহা যজ্ঞাগ্নিতে আমিত্বকে আহুতি দিয়ে একাকার হয়ে যাবে
সাধক একবার ওঁবেদ যন্ত্র খুলে গেলে। ওঁ বেদ যন্ত্রমন্ত্র পবিত্রায় নমঃ।