বেদ যজ্ঞ
সম্মেলনঃ—১৩/ ০৮/ ২০১৬ স্থানঃ- ঘোড়শালা* মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ তোমরা বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে
নিজেদের পবিত্র অন্তরকে পরস্পরের সাথে যুক্ত করে বিশালত্বের দিকে এগিয়ে যাও।]
বেদ যজ্ঞ
করে অন্তরকে সদায় পবিত্র রাখো। দেখো তোমাদের ন্যায় আরো কতো পবিত্র অন্তর তোমাদের সাথে যুক্ত হবার
অপেক্ষায় রয়েছে। তাদেরকে ডাক দিলেই তোমাদেরকে চিনে নিতে বেশী সময় লাগবে না।
তোমাদের সবার অন্তর বেদ ভগবান অনেক আগেই যুক্ত করেই রেখেছেন। যাদের সাথে তিনি
তোমাদের অন্তরকে জুড়ে দিয়ে রেখেছেন তারা বেদ যজ্ঞের নাম শুনলেই ছুটে চলে আসবে বেদ
প্রচারের কর্মী হয়ে। আর যারা ঈশ্বরের ঘরের কর্মী নয় তাদেরকে এই পৃথিবীর সমস্ত ধন-
দৌলত দিয়েও তাদের অন্তর জয় করতে পারবে না। তারা তোমাদের কাছ থেকে ভাল ভাল মূল্যবান
সম্পদগুলি নিয়ে গিয়ে তোমাদের বিরুদ্ধে যাবে এবং ব্যবসায় করে ফয়দা লুটবে। হে
মহাত্মাগণ, তোমরা নিজেরা বেদ নিয়ে জেগে উঠে বেদপন্থীদের জাগিয়ে তুলে ধর্মযুদ্ধের
আহ্বান জানাও। এখনো তোমাদের বেদ নিয়ে যে দুর্বলতা আছে তা দূর কর ভেদপন্থীদের দেখে।
এই ভেদপন্থীদের কোন জ্ঞান-
বুদ্ধি কাজে
লাগবে না তোমরা ময়দানে নেমে পড়লে। তোমরা যদি দশ জন বেদের সেনাপতি হও তাহলে ওদের
একশ জন সেনাপতিকে ধরাশায়ী করে ফেলবে। আর তোমরা যদি একশ জন হও তবে ওদের দশহাজারকে ধরাশায়ী করে ফেলতে পারবে। তারা সংখ্যায়
অধিক হলেও তাদের কোন দৈবীশক্তি নেই, তাই তাদের শক্তিতে কোন গতি নেই। যে শক্তিতে
গতি নেই তা হলো আবদ্ধ শক্তি। আবদ্ধ শক্তির ক্ষমতা নিজের আবদ্ধতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে, সেখান
থেকে মুক্ত হয়ে তাদের অন্যত্র গিয়ে আত্মরক্ষার কোন পথ থাকে না। আর বেদের কর্মীদের
ব্রহ্মাণ্ডের সর্বত্র গমনের পথ খোলা। যারা কেবল সৌভাগ্যবান তারাই বেদের সৈনিক হয়ে
ধর্মযুদ্ধ করার সুযোগ প্রকৃতির নিয়মে ধর্মযুদ্ধ সংগঠিত হলে পেয়ে থাকে যুগের
সন্ধিক্ষণে। জয় বেদ যজ্ঞের জয়।