বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ- ১০/ ০৮/ ২০১৬ স্থানঃ—ঘোড়শালা*
মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ করে যে কথাবার্তা হৃদয়কে ভারী ও
ভারাক্রান্ত করে তোলে তা জীবনবেদ থেকে ছেঁটে ফেলো।]
যে কোন শাস্ত্র কথা বা উপদেশ মানুষের উজ্জ্বল
চরিত্র গঠনের জন্য অবতীর্ণ হয় মানব সমাজে। এমন কোন শাস্ত্র কথা বা উপদেশ যদি কোন
শাস্ত্র গ্রন্থে থাকে যা তোমাদের হৃদয়কে ভারাক্রান্ত করে তুলে পথভ্রষ্ট করছে মনে
কর তবে তা জীবনবেদ থেকে ছেঁটে ফেলবে। যে শাস্ত্র বাক্য তোমার জীবনের ক্ষেত্রে সত্য
বলে বিবেচিত নয় তা কারো জীবনের ক্ষেত্রেই সত্য হতে পারেনা। মনে রাখবে শাস্ত্রবাক্য
মানুষের হৃদয়কে আলোর ন্যায় হালকা করে ও আলোর ন্যায় গ্রহণ যোগ্যতা বাড়িয়ে দেয়। যে
শাস্ত্রবাক্য সকলকে গ্রহণ করার চরিত্র গঠনে সাহায্য করেনা তা কখনো মানুষের শাস্ত্রগ্রন্থ
হতেই পারেনা। মানুষ শাস্ত্রবাক্য গ্রহণ করে এমন এক পরিবেশ তৈরী করবে যাতে সবকিছুই
মানুষের জীবন- যাপনের জন্য সহজলভ্য হয়ে উঠবে এবং সেই আলো নিয়ে স্বচ্ছন্দে নির্ভয়ে
সর্বত্র পরিভ্রমণ করতে পারবে। সন্ত্রাসবাদী বা উগ্রবাদী বাক্য যা মানুষের হৃদয়কে
ভারী ও ভারাক্রান্ত করে তোলে তা কখনো কোন শাস্ত্রের বাক্য হতেই পারেনা। কারণ এই সব
বাক্য কেবল মানুষের হৃদয় রাজ্যের পরিবেশ দূষণ করেই মুক্ত থাকে না – এসব বাক্য
দেশের মাটি –জল- হাওয়া- আকাশকেও দূষিত করে তোলে। ফলস্বরূপ প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে তখন
রোধ করার ক্ষমতা আর মানুষের থাকে না। সর্বক্ষেত্রে পরিবেশ ভারসাম্য হারিয়ে ফেলতে
থাকে এবং সেই পরিবেশের ছাপ সর্বভূতের জীবনে এসে বিপরীত ক্রিয়া করে। তাই মানুষের
ঈশ্বর- ধর্ম – শাস্ত্র- সমাজ – জাতি- মতবাদ ইত্যাদি সবকিছুই এসেছে মানুষের চরিত্র
নির্মল করে গড়ে তোলার জন্য। মানব সমাজে একজন মানুষও যদি সন্ত্রাসবাদী – উগ্রবাদী –
চরিত্রহীন হয় তবে সেই সমাজ তো ধ্বংস হবেই সেই সাথে বিশ্বপরিবেশ বিনষ্টির দিকে
এগিয়ে যাবে এতে কোন ভুল নেই। জয় বেদ যজ্ঞের জয়।