বেদ যজ্ঞ
সম্মেলনঃ—০৫/ ০৭/ ২০১৬ স্থানঃ – ঘোড়শালা* মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ করে বিশাল হয়ে
বিশালত্বের পরম কল্যাণময় সত্যবস্তুকে লাভ কর।]
পরম সত্যবস্তু
কালাতীত। একে কোন গণ্ডীর ভিতরে আনতে গেলেই বিনষ্ট হয়ে পড়ে। তখন এর আলো আর কেউ
দেখতে পায় না। তাই মানুষকে নিজের চেষ্টায় আগে বিশাল হয়ে দেহাতীত- ত্রিগুণাতীত ও
ত্রিকালাতীত হতে হয় পরম কল্যাণময় সত্যবস্তুকে লাভ করার জন্যে। তা- না –হলে সেই
সত্যবস্তু বিনষ্ট হয়ে পড়ে কালের কবলে পড়ে। মানুষের বুদ্ধিবৃত্তি বা চিন্তাবৃত্তি
ভগবন্মুখী না হলে কেউ এই পরম কল্যাণময় সত্যবস্তুর মুল্য বুঝতে পারবে না। দেবরাজ
ইন্দ্র মানুষের ঋষিসুলভ ভাব- ভঙ্গীতে প্রীত হন এবং তিনিই যজ্ঞের আয়োজন করে এই শ্রেণির মানুষকে সত্যবস্তুর প্রতি
শ্রদ্ধাশীল করে তোলেন। এখন মানুষ যদি কামনা বাসনার বশবর্তী হয়ে নিজের ধর্ম হারিয়ে
ফেলে নিজের দোষে নিজের ঋষিত্বকে জলাঞ্জলি দেয় তবে দেবতাদের সহযোগিতা কিভাবে আশা
করতে পারেন? যদি তাঁরা নিজের ধর্মকে ক্ষুদ্র গণ্ডীর ভিতরে আবদ্ধ করে ফেলেন তবে তো তাঁরা নিজের
দোষেই ধর্মহীন হয়ে পড়বেন ও পরম কল্যাণময় সত্যবস্তু থেকে অনেক অনেক দূরে সরে যাবেন।
তখন কে তাঁদের যজ্ঞের ব্যবস্থা করে বুদ্ধিবৃত্তি বা চিন্তাবৃত্তিকে সত্যমুখী করে
তুলবেন? এক পরমেশ্বর ভিন্ন দ্বিতীয় কেউ এই পরম কল্যাণময় সত্যবস্তু কাউকে দান করতে
পারেন না। তিনি এই সত্য বস্তু তাঁকেই দান করেন যিনি তাঁর গুণে গুণাম্বিত হয়ে সদায়
ঋষিসুলভ ভাব নিয়ে জগতের সবার কল্যাণে সদায় যজ্ঞ করে চলেন। জয় বেদ যজ্ঞের জয়।