বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ ০৮/ ০৫/ ২০১৬
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ-- প্রেম, মা ও
রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে গড়ে তোলো বেদময় জীবন।
[ বেদ যজ্ঞ করে প্রেমের হাতে নিজেকে ধরা দাও—তাহলেই মানব জীবনকে সার্থক রূপে দেখতে পাবে।]
বেদ যজ্ঞ করে চলেছি নিজেকে প্রেমের হাতে ধরা
দেবার জন্য। অনেক জনম পার হয়ে গেছে এই প্রেমের জন্য অপেক্ষা করতে করতে। কত দোষে
দোষী হয়ে পড়েছি অপেক্ষা করতে করতে। অনেক দেরী হয়ে গেলো- তাই বেদ যজ্ঞের আসরে এসেছি নিজেকে প্রেমের হাতে
ধরার দেবার জন্য। বিধির কত বিধানকে ছিন্ন করতে করতে এগিয়ে চলেছি এই প্রেমের হাতে
নিজেকে ধরা দেবার জন্যে কিন্তু যতই এগিয়ে চলেছি ততই প্রেম আমাকে ছেড়ে দূরে অনেক
দূরে চলে যাচ্ছে। তাই আর তার পিছনে না ছুটে তার হাতে ধরা দেবার
জন্যে বেদ যজ্ঞ বেদিতে বসেই অপেক্ষা করছি। দেখি বিধির বিধান কত শাস্তি দিতে পারেন
এই প্রেমকে লাভ করার জন্য। লোকে কত নিন্দা করছে – আমি দেখছি তাদের নিন্দা মিছে নয়।
তাদের নিন্দা সহ্য করেই তাদের পদতলে বসেই আমাকে প্রেমের জন্যেই বেদ যজ্ঞ করে যেতেই
হবে। সবায় কত বেচা –কেনা করছে প্রেমের হাটে প্রেমকে নিয়ে – শেষ বেলায় তাদের প্রেমের হাট
ভেঙ্গে যাচ্ছে—সবায় তখন এই হাটের প্রতি রোষে ফুঁসছে। আমি কেবল তাদের এই প্রেমের
খেলা দেখে যাচ্ছি, আর সেই প্রেমের হাতে নিজেকে ধরা দেবার জন্যে বসে আছি যুগ
যুগান্তর ধরে। কে সেই প্রেমিক—কেবল প্রেম নিয়ে উঁকি মারে কিন্তু কিছুতেই নিজেকে
ধরা দেয় না –আজ আর নয় এবার বসেছি তাঁর হাতে ধরা দেবার জন্য এই বেদ যজ্ঞ বেদিতে
স্থির হয়ে গোপন কক্ষে গোপী হয়ে জননীর শ্রীচরণতলে। তাই মনে পড়ে যাই আজ বিশ্ব কবি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তীতে তাঁর রচিত সেই মায়ের চরণ বন্দনার সংগীতটিঃ –
জননী, তোমার করুণ চরণখানি
হেরিনু আজি এ
অরুণকিরণরূপে।
জননী, তোমার
মরণহরণ বাণী
নীরব গগনে ভরি উঠে
চুপে চুপে।
তোমারে নমি হে সকল
ভুবন-মাঝে,
তোমারে নমি হে সকল
জীবন-কাজে;
তনু মন ধন করি নিবেদন আজি
ভক্তিপাবন তোমার পূজার
ধূপে।
জননী, তোমার করুণ চরণখানি
হেরিনু আজি এ অরুণকিরণ রূপে।
আজকের এই শুভদিনে বিশ্বমানব শিক্ষার মঞ্চ
থেকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে জানাই প্রণাম। আজকে মাতৃজাতিকে জানাই প্রণাম।
আসুন আমরা সকলে প্রেমের হাতে ধরা দিয়ে জীবন সার্থক করে তুলি। সকলকে আমার অন্তরের
প্রণাম- সালাম- নমস্কার – প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে এখানেই শেষ করলাম। জয় ভগবান
শ্রীকৃষ্ণের জয়। জয় বেদ যজ্ঞের জয়। জয় বিশ্ব মানব শিক্ষার জয়।