Home » » বেদ যজ্ঞ সম্মেলন --০৭/ ০৫/ ২০১৬

বেদ যজ্ঞ সম্মেলন --০৭/ ০৫/ ২০১৬


বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—০৭/ ০৫/ ২০১৬                                              আজকের আলোচ্য বিষয় “ আত্মজ্ঞান”।                                         [বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে নিজের অন্তর বেদ খুলে সকলে আত্মজ্ঞানী হয়ে উঠো।]  ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলেছেন--আমি মানুষকে আত্মজ্ঞান লাভের কৌশল শিক্ষা দিয়েছি। যে আত্মজ্ঞান শিক্ষা আমি সূর্য চন্দ্র গ্রহ নক্ষত্রাদিকে দান করেছি।আত্মজ্ঞান লাভ করলে আর কিছুই জানার বাকী থাকে না। আত্মজ্ঞানীরা সকলেই আমার আশ্রয়ে থেকে আমার জ্ঞান বিজ্ঞানের ঘরের কর্মী হয়ে থাকে ও মহানন্দলোকে স্বাধীনভাবে অবস্থান করে। সেই জ্ঞানের ডানার উপর ভর করে সর্বলোকে তারা ভ্রমণ করতে পারে। আত্মজ্ঞান লাভ করলেই মানুষ নক্ষত্রের ন্যায় ধীর-স্থির-উজ্জ্বল হয়ে উঠে ও পরার্থে নিজের জীবন উৎসর্গ করে নিরাকার হয়ে অবস্থান করে। তাকে ঘিরে গড়ে উঠে ভিন্ন এক প্রান চঞ্চল জগত। সেই জগতের আলো সকলের মঙ্গল করে।আত্মজ্ঞানী আমার অতি প্রিয়।তারাই পথ প্রদর্শক হয়ে সঠিক পথের সন্ধান দেয় আমার নির্দেশ মেনে।তাদের অন্তরে আমি সদা সতর্ক থেকে সতর্কবাণী প্রয়োজন মতো অবতীর্ণ করি মানুষকে সৎকর্ম শীল ও কর্মযোগী রূপে গড়ে তোলার জন্য ঊনপঞ্চাশটি বিশ্বে। সপ্তলোক ঘিরে ঊনপঞ্চাশটি বিশ্ব সদা জীবন্ত থাকে আমার নির্দেশে। আত্মজ্ঞানীরাই কেবল এই মহাসত্য জেনে মহাসত্যের কোলে বিরাজ করে। প্রত্যেক মানুষ জন্মগত ভাবে নিজের ইচ্ছা শক্তি- ক্রিয়া শক্তি ও জ্ঞানশক্তি লাভ করে থাকে নিজেকে উন্নত স্তরে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে। এই তিন শক্তিকে শুভদিকে সত্যের উপর স্থির করে যে ধরে রাখতে পারে সেই নিজেকে আত্মা রূপে জেনে তাঁর উপর ভর করে চলতে পারে। বেদ যজ্ঞ ছাড়া বাকী সমস্ত যজ্ঞ এই পার্থিব জগতের সুখ- আনন্দ লাভের জন্যে ও নিজেকে এই জগতে প্রতিষ্ঠা করার জন্য মানুষ করে থাকে। তাই এই সব যজ্ঞের দ্বারা পার্থিব জগতের উন্নতি কামনা করে তারা সিদ্ধি লাভ করে কিন্তু তাদের আত্মাকে পরমাত্মার সাথে যুক্ত করে সর্বভূতে নিজের আত্মাকে দেখতে সমর্থ হয় না। তাই তারা এই সব যজ্ঞের দ্বারা জন্ম মৃত্যুর বন্ধন থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারেনা। যে সমস্ত মহান আত্মা কেবল পরমাত্মার সাথে নিজেকে যুক্ত করার জন্য বেদ যজ্ঞ করে চলে তাদেরকে আর জন্ম মৃত্যুর বন্ধনে আবদ্ধ হতে হয় না। তারা চিরকাল নিজ আত্মার উপর ভর করে পরমাত্মার সাথে যুক্ত হয়ে দেহাতীত- ত্রিগুণাতীত ও ত্রিকালাতীত হয়ে বেদ যজ্ঞ করে চলে আমার লীলা সঙ্গী হয়ে – আমার প্রেমে মশগুল থেকে। জয় গীতা। জয় বেদ ভগবানের জয়।

Facebook CommentsShowHide
Disqus CommentsLoadHide