যাদের অন্তরে শয়তানী বুদ্ধি বা কুবুদ্ধি কাজ করে
তারা কেউ বেদ যজ্ঞ করার অধিকার লাভ করতে পারে না। অথচ বর্তমানে স্কুল – কলেজ-
বিশ্ববিদ্যালয়ে এই শ্রেণির মানুষের আধিপত্যই বেশী। তাই যারা প্রকৃত মানুষ গড়ার
কারিগর তারা প্রতিপদে পদে হেনস্থা হচ্ছেন এই শিক্ষিত শ্রেণির শয়তানদের দ্বারা। এই
শয়তানরা কখনো মানুষের শিক্ষক হয়ে মানুষ গড়ার কারিগর হতে পারেন না। এদের দ্বারা যারা
শিক্ষা লাভ করবে তারাও তাদের ন্যায় শয়তানী বুদ্ধিতে তুখোর হয়ে উঠবে। শিক্ষার্থীদের
অন্তরে শয়তানী বুদ্ধি কাজ করলে তাদেরকে সংশোধিত পথে নিয়ে যাবার জন্যে শিক্ষক থাকেন
কিন্তু শিক্ষকদের অন্তরে শয়তানী বুদ্ধি যখন কাজ করে তখন তাদেরকে কে সংশোধিত পথে
নিয়ে যাবেন? কারণ তারা তো জানে অফিস –আদালত- কোর্ট –কাছারি সর্বত্র তাদের সঙ্গী
আছে, কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলবে না। একইভাবে রাজনীতি- সমাজনীতি- অর্থনীতি –
যেকোন শিক্ষা স্বাস্থ্যনীতি- ধর্মনীতি সর্বত্র চলছে শয়তানী বুদ্ধির জয় জয়াকার। এইশ্রেণীর মানুষেরা এই পৃথিবীর বুকে শয়তানী বুদ্ধি নিয়েই জন্ম
গ্রহণ করে ও সদা সুস্থ পরিবেশকে অশান্ত করে আনন্দ লাভ করে। এরা শয়তানী বুদ্ধি ছাড়া
ভাল বুদ্ধি লাভ করেনা প্রকৃতির নিয়মে। এদের কানে কোন সদোপদেশ যায় না কারণ তাদের
অন্তরের দরজা ঈশ্বর বন্ধ করে রাখেন। এরা মানুষের উপর অত্যাচার চালায় তাদের শয়তানী বুদ্ধিকে কাজে
লাগিয়ে। পরিশেষে এদের ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয় কিন্তু তাসত্ত্বেও তাদের অন্তরের দরজা
খুলেনা ও তাদের বিবেক জাগ্রত হয়না। এরা মানুষের চামড়া পড়ে থাকলেও মানুষ নয়- এরাই হচ্ছে শয়তান- রাক্ষস- অসুর ইত্যাদি নামে খ্যাত হয়ে
আসছে চিরকাল। এরা কখনো মানুষের বন্ধু হতে পারেনা। এদেরকে বেদের বা জ্ঞানের রাজত্বে ডাক দিলেও
তারা শুনতে পাবেনা। এরাই চিরকাল অবতার, নবি, মহাপুরুষ ও মহামানবদের বিরুদ্ধে
অপবাদ, বদনাম ছড়িয়ে তাদেরকে হেনস্থা করে অবশেষে তাদেরকে উচ্চ আসনে বসতে সহযোগিতা
করে থাকে কিন্তু তারা সেটা অনুভব করতে পারেনা। তারা চিরকাল শয়তানী বুদ্ধি নিয়ে
জন্মায় ও মৃত্যু বরণ করে প্রকৃতির নিয়মে—এই ধরার বুকে জ্ঞানের বিপ্লব ঘটাবার কাজে
সহযোগিতা করে যুগের পরিবর্তন আনার জন্যে ও শয়তান ও মানুষের মধ্যে পার্থক্য করে
দেখাবার জন্যে। এই শয়তানরা না থাকলে মানুষ কখনো নিজেকে জানার জন্যে সাধনা করতো না
ও নিজের গুণের প্রকাশ-বিকাশ ঘটিয়ে দেবত্বে উপনীত হতে পারতো না। তাই এরা মানুষের
প্রকাশ্য দুষমন হয়েও বন্ধু হয়ে থেকে যায় মহামানবদের অন্তরে। এই সব মহানদের কাছে
সবায় মহান এই কথা তাই আমরা শুনতে পাই। এই মহানদের প্রেমই হচ্ছে প্রকৃত মানব প্রেম।
আর শয়তানদের প্রেম হচ্ছে
কপট প্রেম—তাদের প্রেম প্রীতি ভালবাসা জাগতিক সুখ নির্ভর হয়ে চলে এবং অন্যের
দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই শয়তান শ্রেণির মানুষরা মিথ্যা অভিনয় করে সবশ্রেণির
মানুষকে মোহিত করে তুলতে পারে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য। স্বার্থ
চরিতার্থ হয়ে গেলেই তারা আর ছোবল মারতে ছাড়ে না তাদের উপকারী সত্তাকে। তাই তোমরা
নিজেরা শয়তানদের ছায়ার কাছেও যেও না এবং নিজেদের ছেলে –মেয়েদেরকে তাদের পরিবেশ
থেকে মুক্ত রাখো। জয় বিশ্ব মানব শিক্ষার জয়। জয় বেদ যজ্ঞের জয়। জয় বেদ ভগবানের জয়।