বেদ
যজ্ঞ
সম্মেলনঃ—০৪/ ০৫/ ২০১৬ আজকের
আলোচ্য
বিষয়ঃ
-- [ বেদ
যজ্ঞের
মাধ্যমে
মানুষের
মন
ও
চিত্তকে
ভারতীয়
আদর্শে
পূর্ণ
করে
তুলে
দেশপ্রেমিক
ভারত
সন্তান
রূপে
গড়ে
তোলো।]
ভারতভুমি
হলো
দেবভুমি।
এই
দেবভূমিতে
কেউ
অরাজকতা
চালিয়ে
বেশী
দিন
রাজত্ব
করতে
পারে
না
। এখানে আসুরিক শক্তির পরাজয় যুগে যুগে হয়ে এসেছে। এই ভারতভূমিতে চিরকাল
দেবতুল্য
রাজারা
প্রজাদের
নিজের
সন্তান
মনে
করে
জ্ঞানমার্গে
ধারণ
করে
তাদের
সব
ব্যবস্থা
করার
সাথে
সাথে
আধ্যাত্মিক
উন্নতির
ব্যবস্থা
করে
গেছেন।
এই
দেবতুল্য
রাজারা
সকলেই
ছিলেন
ঈশ্বরের
প্রতিনিধি।
তাঁরা
জানতেন
মানুষের
মনই
হল
বন্ধনের
ও
মোক্ষের
কারণ। তাই
তাঁরা
প্রজাদের
মনের
উপর
সমীক্ষা
চালিয়ে
তাঁদেরকে
মুক্ত
মনের
অধিকারী
করে
তুলতেন।
বিষয়াসক্ত
মনের
মধ্যে
যাতে
কোন
প্রজা
আবদ্ধ
হয়ে
না
পড়েন
সেদিকে
তাঁদের
প্রখর
দৃষ্টি
থাকতো।
ভারতীয়
রাজারা
যেমন
নিজের
মন
ও
চিত্তের
উপর
ভর
করে
রাজত্ব
চালাতেন
তেমনি
প্রজারাও
নিজেদের
সংসার
চালাতেন
মন
ও
চিত্তের
উপর
ভর
করে
। মানুষের চিত্তই
হলো
সংসার।
এই
চিত্তকে
রাজা
–প্রজা সকলেই প্রযত্ন সহকারে
সদায়
শোধন
করার
প্রয়াস
চালিয়ে
যেতেন
নিজেকে
অভাবমুক্ত
অবস্থায়
ধারণ
করে
বেদ
যজ্ঞের
মাধ্যমে।
এই
সনাতন
গুহ্যতত্ত্ব
তৎকালীন
মুনি-
ঋষিরা
রাজাকে
দিতেন।
রাজা
রাজকর্মচারী
সহ
প্রজাদের
মাধ্যমে
এক
অভিনব
কৌশলে
শিক্ষা
দিয়ে
সকলকে
এক
অনাবিল
শান্তির
জগতে
ধরে
রাখতেন।
তাই
কেউ
অশান্তির
আগুনে
জ্বলে
পুড়ে
ছাই
হতো
না
রাজার
আশ্রয়ে
প্রজার
ধর্ম
পালন
করতে
গিয়ে।
সংসারে
কেউ
চালাকির
আশ্রয়
গ্রহণ
করার
প্রবৃত্তি
পেতো
না ঈশ্বরের সংসার ধর্ম পালন করতে গিয়ে। তাই বলতে হয়------------------------------------------------------------------------------ চালাকির দ্বারা কভু মহৎ কাজ নয়।
তাই তো কোনও নেতা মহৎ না হয়।।
মন্ত্রী হয় রাজা হয় চালাকির দ্বারা।
দেশের সম্পদ লুট করে, গড়ে নানা অজুহাতে ধারা।।
মূর্খ থাকে জনগণ ভোট দিবার লাগি।
জ্ঞান পেলে দলবাজি উঠে যাবে আজি।।
দলবাজি উঠে গেলে নেতাদের মুখোশ।
খুলবে প্রজাদের সামনে হবে যে প্রকাশ।।
প্রজারা দেখবে তারা ছদ্মবেশধারী।
সন্ন্যাসীর বেশে ছিল রাবণ সীতা হরণকারী।।
জয় বিশ্ব মানব শিক্ষার
জয়। জয় বেদ যজ্ঞের জয়। জয় ভারতমাতার জয়।