বেদ
যজ্ঞ সম্মেলনঃ ১৭/ ০৫/ ২০১৬
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ-- [ বেদ যজ্ঞ করে দৃষ্টিশক্তি প্রখর করো এবং নিজের নিজের হাতের শঙ্খ বাজাতে বাজাতে যুদ্ধক্ষেত্রে এগিয়ে এসো আমি তোমাদের
রথের সারথী জেনে।]
বেদ যজ্ঞ করেই তোমাদের ধারণাকে পালটাতে হবে।
তোমাদের ধারণা তোমরা কেবল দুটি চোখ দিয়েই দেখতে পাও এবং দুটি কান দিয়েই শুনতে পাও। এই ধারণা তোমাদের
সম্পূর্ণ ভুল। তোমরা এমনি এক চেতন-সত্তা যে তোমরা তোমাদের
কোটি কোটি সচেতন কোষ দিয়ে দেখে চলেছো ব্রহ্মাণ্ডের সমস্ত কার্য –কলাপকে এবং শুনে
চলেছো আমার অমোঘ বেদের বাণী যা বেজে চলেছে যুগ যুগান্তর ধরে সবার হৃদয় মন্দিরে। আমি শিংগায় ফু দিয়ে চলেছি--- আমি শঙ্খ বাজিয়ে
তোমাদের ডাক দিচ্ছি--- আমার হাতের বাঁশি বেজে চলেছে সুর ও তাল নিয়ে—তোমাদের এখনো
কেন ঘুম ভাঙ্গছে না--- যুদ্ধ সাজে বেড়িয়ে যখন আসতেই হবে সংগ্রাম মঞ্চে তখন আর
অলসতা নিয়ে আরাম শয্যায় স্বপ্ন দেখে তোমাদের কি লাভ হবে? যার হাতে যে শঙ্খ-বাঁশী-
শিংগা আছে তা নিয়েই সুর তোল যুদ্ধের—ঢাল তলোয়ার যার যা আছে তাই নিয়ে বেড়িয়ে পড়ো—তানাহলে
সেগুলি কালের কবলে সব মরচে লেগে ধ্বংস হয়ে যাবে—কোন কাজেই লাগাতে পারবেনা। যে
সম্পদের মায়া করছো তাও ধ্বংস হয়ে যাবে—আমার শিংগার ধ্বনির শব্দে কিছুই ধরে রাখতে
পারবেনা। আমি তোমাদের অন্তরে থেকে সদায় ধর্মযুদ্ধের ডাক দিয়ে চলেছি বিশ্বমানব
শিক্ষার মঞ্চে—তোমরা নিজ নিজ চেতনা শক্তিকে জাগ্রত করে এগিয়ে এসো—শঙ্খ বাজাও
তোমাদের শঙ্খের ধ্বনি শুনে সবায় শঙ্খ বাজাতে শুরু করবে—মহাবিপ্লব শুরু হয়ে যাবে
স্বাভাবিক ভাবে বিশ্বজুড়ে। তোমরা আমার দেওয়া শঙ্খ যত বাজাবে তত তোমাদের দৃষ্টি
শক্তি –শ্রবণ শক্তির প্রসার
ঘটতে থাকবে। একবার তোমাদের দৃষ্টিশক্তিকে প্রসারিত করো তাহলেই দেখতে পাবে তোমরাও
চন্দ্র- সূর্যের ন্যায় একস্থানে স্থির হয়ে বসে ব্রহ্মাণ্ডের সবকিছু দেখতে পাচ্ছো –
সবকিছুই শুনতে পাচ্ছো। তখনি তোমরা বেদ যজ্ঞে স্থির হয়ে যাবে এবং আমার ব্রহ্ম
সত্যকে জেনে আমাতেই স্থির
হয়ে থাকবে। হরি ওঁ তৎ সৎ।