বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—১২/ ০৫/ ২০১৬
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ [ বেদ যজ্ঞ করেই নিজের জীবনের সুরকে বেদের সুরের সাথে
যুক্ত করো ও মানব জীবনকে বেদময় করে তোলো।]
এই ব্রহ্মাণ্ডে সবার জীবনের সুর হচ্ছে বেদের
সুর- সত্যের সুর যা চিরন্তন সনাতন ধর্মের সাথে যুক্ত। তাই এই বেদজ্ঞানকে বাদ দিয়ে
কেউ নিজের জীবনকে উপলব্ধি করতে পারেনা। এই বেদের সত্যই হচ্ছে জীবের জীবন সত্য। এই
সত্যের জন্য সবকিছু ত্যাগ করলেও জীবনের সুর ধ্বংস হয়ে যায় না। কিন্তু অন্যকিছুর
জন্য বেদের সত্যকে ত্যাগ করলেই জীবনের সুর-তাল- লয়ের সঙ্গীত বিচ্চিন্ন ও বেসুরে
হয়ে পড়ে। তাই কোন কিছুর বিনিময়ে যারা জীবন থেকে সত্যকে বিচ্ছিন্ন করে বা ত্যাগ করে
তারা নিজের প্রিয় ঈশ্বরকে ত্যাগ করে এই বিশাল ব্রহ্মাণ্ডে তালকানা হয়ে পড়ে। তারা
জীবনের সত্যকে না জানার জন্য এমনই স্বার্থপর হয়ে যায় যে নিজের গণ্ডীর বাইরে যে জগৎ
তার জন্য অপেক্ষা করছে এই সত্যজ্ঞান টুকুও লাভ করতে চায় না। পরার্থে জীবন উৎসর্গ
করায় যে জীবনের ধর্ম এই সত্যকে তারা নিজেদের জীবন সুরের সাথে যুক্ত করার জন্য
সংগ্রাম বা সাধনা করে না। এর ফলে তারা পরপীড়নের ন্যায় পাপে লিপ্ত থেকেই জীবন
অতিবাহিত করার কাজে অভ্যস্থ হয়ে পড়ে। মানুষকে ও জীবকে ভালবাসায় যে প্রাণের ধর্ম এই
বেদ থেকে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে অন্তরে ঘৃণা- বিদ্বেষের এক পাপের বোঝা নিয়ে সর্বত্র
ভ্রমণ করে ও তা ছড়িয়ে আগুন লাগায়। এই দুর্বলতা ও কাপুরুষতার পাপের কথা তারা
কিছুতেই স্বীকার করে না নিজেদের মুখোশ খুলে যাবার ভয়ে। তাই তারা কিছুতেই নিজের
জীবন বেদের সুরকে আয়ত্ত করে সৎ শক্তি- সৎ সাহস- সৎ চিন্তা নিয়ে সত্যমুখী হয়ে নিজের
ধর্ম পালন করতে পারেনা। এই নিজের ধর্ম পালন না করার জন্য তাদের মধ্যে যে বেদের
পূর্ণতা আছে তার পরিপূর্ণ বিকাশ অন্তরে ঘটে না। এই পরিপূর্ণ বেদের সুর বা শিক্ষার
বিকাশ না ঘটলে নিজের মধ্যেকার দেবত্বের শক্তির সাথে সে কিছুতেই যুক্ত হয়ে পূর্ণ
হতে পারেনা। নিজে পূর্ণ মানুষ না হলে কিভাবে একজন মানুষ অপর একজন পূর্ণ মানুষের
জন্ম দিতে সক্ষম হবে? তাই বেদের সুর জীবনের সুর তা জেনে বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে আগে
মানুষকে নিজের রক্ত- বীর্য শোধন করে নিতে হয়। তাই তোমরা বেদ যজ্ঞ করে মানুষ হও,
মানুষ কর তাহলেই দেখবে এই বিশ্ব বেদের আলোতে আলোকিত হয়ে উঠবে। জয় বেদ ভগবানের জয়।
জয় বেদ মাতা গায়ত্রীদেবীর জয়। জয় বেদ যজ্ঞের জয়। জয় বিশ্বমানব শিক্ষার জয়।