Home » » বেদ যজ্ঞ সম্মেলন --১১/ ০৫/ ২০১৬

বেদ যজ্ঞ সম্মেলন --১১/ ০৫/ ২০১৬



বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ – ১১/ ০৫/ ২০১৬                                                আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ করে নিজের জীবনকে সৎ -সত্য- সুন্দর ও জ্যোতির্ময় রূপে গড়ে তোলো তাহলেই তোমার কামনা-বাসনার সমাপ্তি ঘটবে।]
জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তোলার মূল মন্ত্র বেদ যজ্ঞ করে নিজেকে অমৃতের সন্তান রূপে জানো।  তাহলেই দেখবে তোমার নিজের মধ্যেই তুমি যা চাইছো তাই পেয়ে যাবে। একটু নিজের জ্ঞান ও বুদ্ধিকে খাটিয়ে সৎ চিন্তা ভাবনা শুরু করে সৎ কর্মে লিপ্ত হও; দেখবে তোমার মানবিক গুণগুলি সব ফুটে উঠেছে তোমার অন্তরে। তারপর সেই গুণগুলি বিকশিত হয়ে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে বিশালত্বের সাথে। তখন তোমার মধ্যে জেগে উঠবে অলৌকিক শক্তি যা তোমাকে নিয়ে ছুটবে বিভুতি ও ঐশ্বর্যের রাজত্বে। আরও এগিয়ে গিয়ে যখন আত্মজ্ঞানের রাজত্বে প্রবেশ করবে, তখন তুমি যা চাইবে তাই পাবে সেইসাথে সেখানে তোমার কামনা বাসনার সমাপ্তি ঘটবে এবং তুমি পূর্ণ হয়ে উঠবে। এই অবস্থায় সদায় তুমি সদগুরু বা সৎজ্ঞানী লোকের সান্নিধ্যে অবস্থান করবে ও মুক্ত পরিবেশে মুক্ত সত্তা হয়ে বিরাজ করবে।
 আত্ম উপলব্ধির পথে ক্ষতিকারক সব রকম অনুশীলন থেকে ঈশ্বর সদায় রক্ষা করবেন নিজের আশ্রয়ে রেখে বেদ যজ্ঞকারীদের।  যারা বেদ যজ্ঞ করে না তারা  মানুষকে বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা করতে জানে না, তাদের অহংকার শোভা পায় না। তাদের অহংকার ভবিষ্যতে কুৎসিত রূপ নিয়ে তাদেরকেই আঘাত করে। এসব ব্যক্তির সান্নিধ্য না করাই শ্রেয়। এরা কখন যে নিজের বন্ধুকে ছুঁড়ে মারবে - তা নিজেরাই জানে না। এসব ব্যক্তির লোক চেনার দিব্যদৃষ্টি বা জ্ঞান তেমন নেই।
 বেদ যজ্ঞ করে যাকে একবার শ্রদ্ধা করবে বা ভালবাসবে তাকে কখনো ভূল বুঝবে না। তার সাথে সামান্য লাভ-লোকসানের হিসেব কষতে গিয়ে সম্পর্ক  ছেদ করবে না। তার বিরুদ্ধে তার শত্রুরা শত অপপ্রচার করলেও তা বিশ্বাস করবে না। যদি সে কোন ভূল ত্রুটি করে ফেলে, তার ভূল সংশোধন করার দায়িত্ব তোমার, বন্ধু হিসাবে। নিজে সৎ হয়ে বন্ধুকে সৎ করার দায়িত্ব তোমার—একথা কখনো ভুলে যাবে না বেদ যজ্ঞ করতে গিয়ে। তোমরা বেদ যজ্ঞ করে চলেছো বীর হনুমানের ন্যায় রাম ভক্ত বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে, তাই কখনো নাম-যশ- অর্থের লোভে কোন কাজ করবে না, তাহলেই ঈশ্বরের হৃদয়পদ্ম থেকে তোমাদের জ্ঞান-বুদ্ধি-শক্তি- চিন্তা কখনো বিচ্যুৎ হবে না।
বেদ যজ্ঞ করে সৎ বন্ধু সৃষ্টি করবে—কখনো শত্রু সৃষ্টি করবে না। পরম শান্তির পরিমণ্ডল গড়ে তুলবে সৎ কথা ও সৎ কর্মের দ্বারা। কাউকে আঘাত করে কথা বলবে না। নিজের আচরণ এর উপর সদা সতর্ক থাকবে। তোমার ব্যবহারই তোমার পরিচয়। ভাল-মন্দ যে খাবার খাও সাথীদের দিয়ে খাবে। ছোট সংসার থেকে মুক্ত হয়ে বৃহৎ সংসার গড়ে তুলবে সৎ সংগঠনের মাধ্যমে। অবশ্যই নিজ প্রচেষ্টায় একটি বিশ্বমানব শিক্ষা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলে জ্ঞানের রাজত্বের দিকে এগিয়ে যাবে সকলকে সাথে নিয়ে।  হরি ওঁ তৎ সৎ।

Facebook CommentsShowHide
Disqus CommentsLoadHide