বেদ
যজ্ঞ সম্মেলনঃ—০২/ ০৫/ ২০১৬ [বেদ যজ্ঞ
করে শাস্ত্রগ্রন্থ পাঠ করে সত্য নিয়ে গবেষণা করো তবেই অন্তরে জ্ঞানের বাতি জ্বলে উঠবে।]
বেদ
যজ্ঞ করে শাস্ত্র গ্রন্থ পাঠ করো তাহলেই বুঝতে পারবে শাস্ত্র কোনদিন মিথ্যা কথা বলে না। শাস্ত্রে যা সত্য তাই প্রকাশিত হয় আবরণে ঢাকা অবস্থায়। ঢাকনা খুললেই সত্য বেড়িয়ে আসে।
তাই তোমরা বিশ্বের যত শাস্ত্র গ্রন্থ আছে তা নিয়ে গবেষণা করে সত্যকে আবিষ্কার করো
মানব জাতির মঙ্গলের জন্যে। শাস্ত্র গ্রন্থের মধ্যে মানব জাতির কল্যাণ নিহিত রয়েছে।
পবিত্র কুরআনের উৎপত্তিস্থল আরব, সেই গ্রন্থে আরবের সাহিত্য- সংস্কৃতি ফূটে উঠবে
স্বাভাবিক নিয়মে। যে দেশে শাস্ত্র গ্রন্থ রচিত হয়েছে সেই দেশের মানব জীবনের প্রভাব
সেই শাস্ত্রগ্রন্থে পড়তে বাধ্য। কিন্তু সেই শাস্ত্রগুলির সমার্থ উপলব্ধি করলে দেখা যাবে সমগ্র মানবজাতির মঙ্গলের কথাই সেসব ঐশী গ্রন্থে রচিত রয়েছে। অধিকাংশ
মানুষ ধর্মকে মানে কিন্তু ধর্মগ্রন্থ পাঠ করেনা। প্রত্যেক মানুষ যদি একে অপরের
ধর্মগ্রন্থগুলি মুক্ত মন নিয়ে এক ঈশ্বরকে
বিশ্বাস করে পাঠ করত- তাহলে বিশ্বের কোথাও ধর্ম নিয়ে হানাহানি হত না।সকলেই
জানতে পারত সমস্ত শাস্ত্রগ্রন্থ একই উদ্দেশ্য নিয়ে রচিত। একই ঈশ্বরের আনুগত্য
মান্য করে পৃথিবীর বুকে শান্তি ঐক্য ও সাম্য প্রতিষ্ঠার জ্ঞান মানবজাতিকে দেওয়া
হয়েছে। সত্যকে প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষের অজ্ঞতা নাশ করে জ্ঞানের রাজত্বে
প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঈশ্বর মানুষের অন্তরে সনাতন বেদ
খুলে দিয়ে শাস্ত্র রচনার উৎসাহ ও শক্তি তাদেরকেই দিয়েছেন। তিনি মানুষের অন্তরে
জাগ্রত হয়ে তাদের মাধ্যমেই নিজের সত্য
বার্তা প্রেরণ করেছেন। ঈশ্বর কোথাও জন্ম নিয়ে নিজে মানুষের জন্য কিছু লিখে দেন নি।
তিনি মানুষের অন্তরে অবতীর্ণ হয়েছেন তাঁর জ্ঞান ও শক্তি নিয়ে এবং তাদেরকে দিয়েই
শাস্ত্র রচনার মাধ্যমে তাদেরকে পথ প্রদর্শন করেছেন। সে সমস্ত নবি অবতার মহামানবের
মাধ্যমে তিনি সত্যকে প্রকাশ করেছেন—সেই পরিবেশ সেখানে স্বাভাবিক নিয়মে স্থান
পেয়েছে। পরবর্তীতে তা বিশ্ব পরিবেশে সেখানে স্বাভাবিক নিয়মে স্থান পেতে গিয়ে
সমস্যা দেখা দিয়েছে- স্থান-কাল –পাত্র ভেদে। স্থান কাল পরিবেশকে বাদ দিয়ে
কেবল সত্যকে নিয়ে যদি মানুষ সেই শাস্ত্রগুলি
চর্চা করে তবে দেখা যাবে প্রতিটি শাস্ত্রগ্রন্থ এক সুরে একই কথা বলে গিয়েছে
মানুষের মঙ্গলের জন্য।
বেদ
যজ্ঞ আসরে শাস্ত্রগ্রন্থ পাঠকালে ঈশ্বরকে পবিত্র হৃদয় মন্দিরে জাগ্রত করে তাঁর
অনুগত দাস হয়ে—কেবল তাঁকেই সন্তুষ্ট করবে। তাঁর নিকট থেকেই শাস্ত্রকথা শুনবে। তাঁর
নিকট থেকেই ব্যাখ্যা শুনবে প্রতিটি শ্লোকের। তিনিই একমাত্র তাঁর কথার সঠিক
ব্যাখ্যা দিতে পারেন। তিনি ছাড়া দ্বিতীয় কোনো শিক্ষক বা গুরু নেই যে তোমাকে
শাস্ত্রকথা শুনিয়ে তার অর্থ উদ্ধার করে তোমাকে সন্তুষ্ট করে তোমাকে তাঁর প্রতি
বিশাসী করে তুলবে। তিনি হৃদয় মন্দিরে জাগ্রত না হলে কে তোমাকে শাস্ত্রকথা শোনাবে?
তিনি ছাড়া কারো কথায় তোমার অন্তরে বিশ্বাস জাগ্রত হবে না। তাই প্রথমে তোমার
বিশ্বাসকে দৃঢ় করতে হবে যে তিনি হৃদয় মন্দিরে অবস্থান করছেন। তারপর তাঁকে ডাক দাও
জেগে ওঠার জন্য ভক্তি শ্রদ্ধা সহকারে। জেগে উঠলে তখন তাঁকে বলো শাস্ত্রকথা বা
সত্যকথা শোনাবার জন্যে। তোমার কথা মতোই তিনি তোমাকে শাস্ত্রগ্রন্থ পাঠ করে শোনাবেন
ও জ্ঞান দান করবেন--- তোমার ধারণ করার শক্তি অনুসারে। যত তুমি গভীরে যাবে ততই তিনি
গভীরে নিয়ে যাবেন তোমাকে অতি আপন করে। তোমার গবেষণাগার যেমন হবে তেমন তিনি সরঞ্জাম
যোগান দিয়ে যাবেন তাঁকে নিয়ে গবেষণা করার জন্য। তাঁর শাস্ত্রগ্রন্থ নিয়ে গবেষণা
শুরু করলেই তিনি জাগ্রত হয়ে তোমার সাথে গবেষণা শুরু করে দেবেন অদ্ভুত অদ্ভুত উপায়
বের করে। তোমার এমন কোন কাজ নেই যে কাজে তিনি সহযোগিতা করবেন না – সব কাজেই তুমি
তাঁর সাহায্য ও সহযোগিতা পাবে বিভিন্নভাবে। এমন জাগ্রত দেবতা তুমি সারা বিশ্ব
ব্রহ্মাণ্ডে কোথাও খুঁজে পাবে না। তাঁর অপার শক্তি ও জ্ঞান দেখে আর তুমি কোথাও
যেতে পারবে না – তাঁকে ছেড়ে । প্রিয় বন্ধু –প্রিয় সাথী- প্রিয় গুরু- প্রিয় পথ
প্রদর্শক হয়ে তিনি সদা জাগ্রত থাকবেন তোমার অন্তরে গবেষণা কালে। তুমি ঘুমিয়ে পড়লেও
তিনি জাগ্রত থাকবেন তোমাকে পাহারা দেওয়ার জন্যে। কোনো শত্রু তোমাকে আক্রমণ করার
সাহস পাবে না তিনি তোমার সাথে বেদ যজ্ঞকালে অবস্থান থাকলে। হরি ওঁ তৎ সৎ।