বেদ যজ্ঞ সম্মেলন== ২৬/ ০৪/ ২০১৬
আজকের আলোচ্য বিষয় সবার জন্যেঃ
==
[ বেদ যজ্ঞ করবে নিজের আত্মাকে জ্ঞানী করে তোলার
জন্যে কিন্তু কোনদিন নিজের নাম-যশ- প্রতিষ্ঠার কথা চিন্তা করবে না – কারণ জ্ঞানীরা প্রচারবিমূখ হয়ে কেবল জ্ঞান ও সত্যের পথ ধরে চলে]
বেদ
যজ্ঞ করে জ্ঞানীরা বেদ জ্ঞান যা চিরন্তন সত্য কেবল সেই আলোর পথ ধরে চলে।তারা প্রচারের ধারে কাছেও যেতে চায় না।নাম-যশ- প্রভাব তাদের কাছে
বিষ্ঠার ন্যায়। সহজ-সরল পথ ধরে সত্যের প্রকাশ বিকাশ ঘটানোতেই তাদের আনন্দ।সামান্যতম অহংকার থাকে না নিজের জ্ঞানের জন্য। এই জ্ঞানীদের চেনা বড়ো শক্ত।
তারা কিভাবে সত্যকে পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠিত করে, তারা নিজেরাও জানে না। ধরা ছোঁয়ার ঊর্ধ্বে থেকে পৃথিবীর
বুকে এক মহাবিপ্লব ঘটিয়ে তারা চলে যায় পৃথিবী ছেড়ে। তখন মানুষ বুঝতে পারে তাদের
মূল্য। কেন তারা প্রচারের আলোয় আসে না? এর উত্তরে বলা যায় তারা সময় অপচয় করতে চায়
না। প্রচারের আলোতে গেলেই সময়ের অপচয় হয় এবং সময়ের মধ্যে কর্তব্য কর্ম সমাপন করা
সম্ভব হয় না। তাছাড়া সুপ্ত একটা অহংকার জেগে উঠতে পারে অন্তরে—এই ভয়টা জ্ঞানীদের
থাকে। অহংকার ও চাহিদা মুক্ত হয়ে তারা তাদের কাজ করে চলে সমাজের বুকে। কতিপয়
ভাগ্যবান তাদের চিনতে পেরে গুরুর আসনে বসিয়ে তার নিকট থেকে কিছু লাভ করে থাকে।
আবার কতিপয় শয়তান তার জীবনকে ধ্বংস করার জন্য মিথ্যা অপবাদ কলঙ্ক রটাতে থাকে।
জ্ঞানীরা এসবের কোনোটাকেই তোয়াক্কা না করে নিজের পথ ধরে চলে। তোমরা বিশ্বমানব
শিক্ষার কর্মী হয়ে বীর হনূমানের ন্যায় নিজের পথ ধরে চলে কেবল সাগরের উপর রাম সেতু বানিয়ে যাও।অন্যের পথের কাঁটা হয়ে যেমন তোমরা থাকবে না
তেমনি তোমাদের পথে কাঁটা থাকলে তা সরিয়ে ফেলবে—যাতে কারও পায়ে সে কাঁটা না লাগে।
তোমাদের পথ আলোর পথ। রাস্তায় কাঁটা থাকলে দেখতে
পাবে সঙ্গে সঙ্গে সেই কাঁটা তুলে ফেলে দেবে—যাতে কারো পথ চলতে অসুবিধা না
হয়। প্রচারের আলোতে কোনোদিন যাবে না। সেই পথে আলো নেই অন্ধকার অন্ধকার আর
অন্ধকার। মিথ্যাকে সত্য—সত্যকে মিথ্যা করার জন্য প্রচার প্রয়োজন হয়। সত্যকে
সত্যরূপে প্রকাশ করার জন্য কোনো প্রচার মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না। সময় হলে সূর্য
যেমন ওঠে—তেমনি সময় হলে সত্য সত্যরূপে প্রকাশ পায়। তাই বলিঃ---
আমার নাহিক নাম এ জগৎ মাঝারে।
জানিনা কোন স্বার্থে সব আমার নাম করে।
নামের এতই জ্বালা ভাবিতে না পারি।
একটু নামের অপমান
সহিতে না পারি।
আজ থেকে নাম শেষ
হইল আমার
সকলি দিলাম তাঁরে
দেহ করি অসার।
অসার দেহের তোমরা
কি নাম রাখিবে?
নাম শেষ ধাম শেষ
তোমরা মরা বলিবে।
রত্নাকর দস্যু সেই
মরা নাম লইয়া
বিশ্বে বন্দিতা
তিনি অমর হইয়া। জয় শ্রীরাম—জয় বীর হনুমানজী