বেদ
যজ্ঞ সম্মেলন--- ২৪/ ০৪/ ২০১৬
আজকের আলোচ্য বিষয় সবার জন্যেঃ------------------------------------ [ বেদ
যজ্ঞ করে মানুষ কিভাবে নিজের মন, বুদ্ধি ও অহংকারকে পবিত্র করে আত্মজ্ঞান বা
ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করে মানব জীবন ধন্য করতে পারে?] শিক্ষার উৎস হচ্ছে মানুষের
অন্তর। এই অন্তরেই প্রতিনিয়ত বেদ যজ্ঞ হয়ে চলেছে প্রকৃতির নিয়মে মানুষকে পবিত্র ও
শক্তিশালী করে গড়ে তোলার জন্যে। তাই প্রকৃতির নিয়মেই সেই অন্তর বিকশিত হয় এবং
মানুষ নিজের অন্তরে বেদের আলো জ্বালাতে সক্ষম হয়। এই প্রকৃতিকে তিন ভাগে বিভক্ত
করা হয়- অন্তঃ প্রকৃতি, বহিঃ প্রকৃতি ও জড় প্রকৃতি। উক্ত তিন প্রকৃতি থেকেই
মানুষকে বেদের আলো সংগ্রহ করে তার সমন্বয় সাধন করে শিক্ষার জগতে অবস্থান করে নিজের
মন, বুদ্ধি ও অহংকারকে পবিত্র করে আত্মজ্ঞান বা ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করার সাধনায় ব্রতী
হতে হয়। তাই সংক্ষেপে নীচের কয়েকটি কথার উপর সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং সকলকে এই বিষয়ে আলোচনা করার
জন্যে আহ্বান জানাচ্ছিঃ--- মন, বুদ্ধি, অহংকারকে
পবিত্র করিয়া।
চলিবে নিশ্চয় তুমি জ্ঞানের পথ ধরিয়া।।
কারোও কথায় তুমি নাচিতে না যাইবে।
নিজস্ব জ্ঞান বুদ্ধি
কাজে লাগাইয়া চলিবে।।
নিজের জ্ঞান বুদ্ধি যারা কাজে না লাগায়।
তারা তো পশুর অধম হয়ে জীবন কাটায়।।
তাদের শিক্ষা দীক্ষার কোন মূল্য নাই।
অধম তাদের শিক্ষা
জানিবে নিশ্চয়।।
পুঁথি নির্ভর শিক্ষা মানুষকে দুর্বল করে তুলে।
দুর্বলতা কাপুরুষতার পথে সেই শিক্ষা দেয় ঠেলে।।
সেই শিক্ষার সাথে সাথে যখন আত্মজ্ঞান পায়।
তখনি ঘুমন্ত
মানুষ শিক্ষা পেয়ে জাগ্রত হয়।।
জ্ঞান-ভক্তি-বিদ্যা-শক্তি শ্রদ্ধা যাতে নাই।
সে শিক্ষার মূল্য মানুষ কিছুতে না পায়।।
সে শিক্ষার সাথে যুক্ত হয়ে যারা অহংকার করে।
তারা কেবল মেকি অলংকার পড়ে থাকে অন্ধকার ঘরে।।
জয় বিশ্বমানব
শিক্ষার জয়। জয় বেদ ভগবানের জয়।
