[ বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে ঈশ্বর সন্তুষ্ট হবেন এমন কাজ তোমরা করো--সেটাই
তোমাদের জীবনের বিরাট সাফল্য। ]
বেদ
যজ্ঞের মাধ্যমে তোমাদের স্বভাব যত সুন্দর রূপে ফুটিয়ে তুলতে পারবে তত তোমরা
তোমাদের ঈশ্বরকে বেশী করে সন্তুষ্ট করতে পারবে। তোমাদের স্বভাব দেখে যেনো তোমাদের
পিতা-মাতা- আত্মীয়স্বজন লজ্জা না পায়। মানুষের স্বভাবটাই হচ্ছে মানুষের ধর্ম। বাকি
সবটাই বাইরের আবরণ। বাইরের পোশাক পড়ে যতই সুন্দর- সুন্দরী সাজো না কেনো তোমার
স্বভাব বা ধর্ম যদি মানুষের না হয় তবে কোন গুণ দিয়ে ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করবে? মানুষ
যেমন মানুষের গুণকে ভালোবাসে—ঈশ্বর মানুষ থেকে আলাদা নন। যে দিন তোমরা নাম- ধর্ম –গোত্র-
ধর্মের গণ্ডি থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন মানব সত্তা হয়ে সৎকর্মশীল হয়ে উঠবে সেদিনই
তোমরা তাঁর জ্ঞান- বিজ্ঞানের ঘরের সাথে যুক্ত হয়ে তাঁকে সন্তুষ্ট করতে পারবে। তার
আগে সমস্ত চেষ্টায় তোমাদের ব্যর্থ হবে—কারণ তোমরা স্বার্থপরতার গণ্ডি পেরিয়ে
নিঃস্বার্থ কর্মী হয়ে উঠতে পারনি। তোমরা কেউ স্বাধীন হতে পারনি। স্বাধীনতার যে
আনন্দ তা না পেলে কেউ নিজেকে সন্তুষ্ট করতে পারে না কর্মক্ষেত্রে। নিজেকে নিজেই যে
সন্তুষ্ট করতে না পারে সে কীভাবে অপরকে বা ঈশ্বরকে সেই কাজে সন্তুষ্ট করতে পারবে?
তোমাদের চিন্তাশক্তিকে বাড়িয়ে গবেষণা করে দেখো আজ পর্যন্ত তোমরা স্বাধীন ভাবে কোনো
কাজ করেছো? তোমাদের স্বাধীনতা কোথায় আবদ্ধ হয়ে আছে? গবেষণা করে এই স্বাধীনতাকে
আবিষ্কার করতে না পারলে তোমরা কোনদিন পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্ত হতে পারবে না।
পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্ত না হতে পারলে তোমরা কোনদিন নেতাজীকে নেতা রূপে
নির্বাচিত করতে পারবে না। যদি তোমাদেরকে দেশের স্বার্থে রাজনীতি করতেই হয় ও ভোট
দিতেই হয় তবে কেনো নেতাজীকে নির্বাচিত করছো না ? রাজনীতি ও ভোট নিয়ে তোমরা যে খেলা
খেলছো তাতে কি তোমাদের ঈশ্বর সন্তুষ্ট হবেন? যেখানে তোমাদের প্রতি মানুষ সন্তুষ্ট
নন--- নিশ্চয় সেখানে ঈশ্বর সন্তুষ্ট হতে পারেন না। অতএব এই রাজনীতির খেলায় তোমাদের
সাফল্য আসতে পারে না। যাদের নিজের দিব্য স্বরূপের প্রতি আস্থা নেই তারা মানুষের
অমঙ্গল ডেকে আনে। যারা মানুষের অমঙ্গল ডেকে আনে তারা সদায় এই পৃথিবীর বুকে নিজেদের
স্বার্থে অশান্তি লাগিয়েই রাখে। ওঁ তৎ সৎ।