[ বেদ যজ্ঞ করে অপ্রয়োজনীয়, তাৎপর্যহীন ও মিথ্যা কথা সর্বদা নিজেকে মুক্ত রাখবে।]
তোমাদের জীবনটা
একটা সময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ কেবল বেদ যজ্ঞ করে
নিজেকে জানার জন্যে। সামান্য সময় যদি অপ্রয়োজনীয় কাজে ও কথায়
কাটিয়ে দাও-তবে কখন জীবনের সত্য দিকটা উদ্ঘাটন করবে ও নিজেকে অমৃতের সন্তান রূপে প্রকাশ করবে? তোমাদেরকে দেখা যায় অপ্রয়োজনীয়, তাৎপর্যহীন ও মিথ্যা কথা নিয়ে আলোচনা
সমালোচনা করতে। মিথ্যা নাটক উপন্যাস পড়ে সময় কাটাতে। মিথ্যা কথা দিয়ে রচিত বিভিন্ন
সিরিয়াল দেখে সময় অতিবাহিত করতে। মিথ্যার পিছনে ছুটতে গিয়ে তোমাদের জীবনটা মিথ্যা
হয়ে যায়। কেন তোমরা অপ্রয়োজনীয়, তাৎপর্যহীন ও মিথ্যা কথা শুনে সময় নষ্ট করছো?
নিজের বিবেককে জিজ্ঞাসা করে দেখো তাহলে উপলব্ধি করতে পারবে প্রতিনিয়ত কিভাবে তোমরা পাপে জড়িয়ে পড়ছ। তোমরা যদি সেই সময়টা সত্যকে
জানার জন্যে গবেষণা করতে, তাহলে তোমাদের জীবনটা সৎ, সত্য, সুন্দর ও জ্যোতির্ময় রূপ
নিয়ে ফুটে উঠত। ভুল পথে গিয়ে তোমাদেরকে ভোলাতে এমনভাবে ভুলিয়ে ফেলেছে যে এখন
সবকিছু গুলিয়ে ফেলেছো। সময় আছে এখনো পথ পরিবর্তন করার। সবকিছু আবর্জনা ঝেড়ে ফেলে
এসো সবাই বিশ্বমানব শিক্ষার মঞ্চে সৎ আলোচনা করার জন্যে মুক্ত মন নিয়ে। এই মঞ্চে
এলেই জ্ঞান সাগরে স্নান করে পবিত্র হয়ে যাবে। অন্তরে জ্বলে উঠবে জ্ঞানের প্রদীপ।
তখন দেখবে তোমার মুখ দিয়ে একটাও অপ্রয়োজনীয়, তাৎপর্যহীন ও অসত্য কথা বের হচ্ছে না।
যে কথা বের হবে তাই অমৃতময় ও সত্য। যে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিয়ে সময় অতিবাহিত
করছিলে এতদিন- এবার তাদের ডাক দিয়ে নিয়ে এসো তোমার সৎ কর্ম অনুষ্ঠানে এবং তাদের
শোনাও তোমার অমৃতময় সত্যবানী –দেখবে তাদেরও জীবনধারা পালটে যাবে-পরশমণির ছোঁয়া
পেয়ে। তুমি যেটুকু সত্য জানো-তাই নিয়ে কাজ শুরু করো- দেখবে ধীরে ধীরে সব সত্যের
দূয়ার খুলে যাচ্ছে। তোমরা বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী সত্যকে সাথে নিয়ে উৎপন্ন হয়েছ
এই পৃথিবীর বুকে। সত্যকে প্রতিষ্ঠা করে ফিরে যেতে হবে আবার তোমাদেরকে বিশ্বমানব
শিক্ষা নক্ষত্রলোকে। সেখানে তোমাদের জন্যে সাগ্রহে অপেক্ষা করছেন তোমাদের পরমপিতা।
হরি ওঁ তৎ সৎ।