Home » » বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে জ্ঞানীরা লক্ষ্যভেদ না করে ছাড়ে না ও তাঁদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে না ।

বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে জ্ঞানীরা লক্ষ্যভেদ না করে ছাড়ে না ও তাঁদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে না ।


[ বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে জ্ঞানীরা লক্ষ্যভেদ না করে ছাড়ে না ও তাঁদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে না।]
যারা বেদ যজ্ঞ শুরু করেন তাঁরাই বেদজ্ঞ ঋষি হয়ে যান নিজেকে অমৃতের সন্তানরূপে জেনে। তাঁদের মনোবল ঈশ্বরের মনোবলের সাথে এমনভাবে যুক্ত হয়ে যায় যে তাঁরা কখনো কোনো অবিশ্বাসের দোলায় দুলতে থাকেন না। চরম বিশ্বাস অন্তরে জাগ্রত করে এই জ্ঞানীরা শেষ না দেখে ছাড়েন না কর্ম জগতে। তাঁদেরকে লক্ষ্যভেদ করে জয়ী হতে হবে এই প্রতিজ্ঞা থেকে সরে আসতে দেখা যায় না । জীবনে তাঁদের অনেক আঘাত- প্রত্যাঘাত আসে, কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে লক্ষ্যে পৌঁছাবার জন্যে সংগ্রাম চালিয়ে যান ঈশ্বরকে ছায়াসঙ্গী করে। যারাই এই পৃথিবীর বুকে নূতন কিছু আবিষ্কার করেছেন--- তাঁরা কিন্তু সহজে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেননি। অনেক বাধা অতিক্রম করে তাঁদেরকে এগিয়ে যেতে হয়েছে। অনেকে লক্ষ্যে পৌঁছাবার আগে দেহত্যাগ করেছেন—কিন্তু সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর মন্ত্র তাঁর শিষ্যকে দিয়ে গেছেন। তাঁরা জানেন প্রত্যেক মানুষের জন্য একটা সময় ধার্য রয়েছে—তারপরেই চলে যেতে হবে। তাই লক্ষ্যে পৌঁছাবার জন্য জ্ঞানীরা শিষ্য তৈরী করে যান এবং তাঁর হাতে নিজের সমস্ত শক্তি প্রদান করে যান—পৃথিবী ছেড়ে যাবার আগে। বিশ্বমানব শিক্ষা হাজার হাজার বছর আগে সৃষ্টি হলেও এই কর্মযজ্ঞ শেষ করে যেতে পারেননি মহান অবতার, নবি ও মহামানবগণ। তোমাদেরকে এখন বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে তাঁদের লক্ষ্য পূরণ করতে হবে বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে। তাঁরা অসমাপ্ত কাজের দায়িত্বভার তুলে দিয়ে গেছেন তোমাদের হাতে। তোমরা এখনো অহংকার ত্যাগ করে তাঁদের উদ্দেশ্য বুঝতে সক্ষম হওনি, তাই বিভিন্ন দল-মত- ধর্ম –সমাজ তৈরি করার লক্ষ্যে বৃথা সময় ও অর্থ অপচয় করছো। তাঁদের সকলের লক্ষ্য ছিল বিশ্বের মানব জাতিকে এক মঞ্চে এনে সারা বিশ্বে শান্তি- ঐক্য- সত্য ও সাম্যের প্রতিষ্ঠা করা। তাঁরা কাজ শুরু করেছিলেন কোনো একটি দল বা গোষ্ঠীর মানুষকে নিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছাবার জন্যে। তাঁরা জীবিত অবস্থায় তাঁদের সাফল্য দেখে যেতে পারেননি। এখন সারা বিশ্বে তাঁদের মত প্রতিষ্ঠা হয়েছে বিভিন্ন রূপ দিয়ে। আজ যদি সকল অবতার, নবি, মহানবি, মহামানবগণ বেঁচে থাকতেন দেহ নিয়ে, তবে একবাক্যে তোমাদেরকে স্বীকৃতি দিতেন বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী রূপে। তাঁরা দেহ নিয়ে পৃথিবীতে না থাকলেও তোমরা তাঁদের নিকট থেকে যতরকম সাহায্য সহযোগীতা পাবে বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে বেদ যজ্ঞের আসরে। তাঁরা দেখে যাচ্ছেন তোমাদের উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন এই জ্ঞান বা বেদের পথে বিশ্বমানব শিক্ষার মহাবিপ্লব সারা বিশ্বব্যাপী ঘটানোর জন্যে। ওঁ তৎ সৎ।

Facebook CommentsShowHide
Disqus CommentsLoadHide