Home » » বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে শাস্ত্র গ্রন্থ পাঠ করে নিজের জ্ঞান- বুদ্ধি- বিবেককে জাগ্রত রেখে তা সবার মঙ্গলের কাজে লাগাও।

বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে শাস্ত্র গ্রন্থ পাঠ করে নিজের জ্ঞান- বুদ্ধি- বিবেককে জাগ্রত রেখে তা সবার মঙ্গলের কাজে লাগাও।

[ বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে শাস্ত্র গ্রন্থ পাঠ করে নিজের জ্ঞান-বুদ্ধি-বিবেককে জাগ্রত রেখে তা সবার মঙ্গলের কাজে লাগাও।]
  বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে আগে জেনে নিতে হবে শাস্ত্র গ্রন্থ কোনোদিন মিথ্যা হতে পারে না। নিজেকে সত্যরূপে প্রকাশ না করা পর্যন্ত কেউ শাস্ত্র গ্রন্থের অন্তরে প্রবেশ করতে পারে না। সত্যকে জানতে হলে অবশ্য শাস্ত্র গ্রন্থ পাঠ করে গবেষণা করতে হবে এবং নিজের জ্ঞান-বুদ্ধিকে কাজে লাগাতে হবে মর্মকথা উপলব্ধি করার জন্যে। সংকীর্ণ মন নিয়ে শাস্ত্র গ্রন্থের বিশালত্বকে উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। মানুষকে ব্যাপ্তির অভিমুখে নিয়ে যাবার জন্যে শাস্ত্র গ্রন্থ অবতীর্ণ হয়ে থাকে যুগে যুগে ঈশ্বরের মনোনীত অবতারের মাধ্যমে। তাই অহংশুন্য অবস্থায় ব্যাপ্তি মন নিয়ে শাস্ত্র গ্রন্থ নিয়ে যারা গবেষণা করে তারা স্রষ্টার জ্ঞান-বিজ্ঞানের ঘরের সাথে যুক্ত হয়ে প্রকৃত সত্য জানতে সক্ষম হয়। ধর্ম গ্রন্থ বা শাস্ত্র গ্রন্থ রচিত হয় স্রষ্টাকে জানার জন্যে। স্রষ্টা সর্বশক্তিমান হয়ে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড নিজ অধীনে রেখে পরিচালনা করছেন বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে। এই বেদ যজ্ঞ রহস্য যে মানুষ জানে সেই তাঁর অধীনে দাসত্ব করে চলেছে সত্যকে জেনে ও তাঁর শাস্ত্র বিধানকে মান্য করে। অহংশুন্য ও চাহিদা শূন্য মানুষ জগতে দুর্লভ। কিন্তু যারা নিজের শাস্ত্রকে জেনে নিজেকে শাস্ত্ররূপে জেনেছে ও আত্মজ্ঞানে ভরপুর হয়ে বিরাজ করছে তারা সকলেই চাহিদা শূন্য ও অহংশূন্য হয়ে ঈশ্বরের দাসত্ব করছে। তাদের নিজের কোনো কর্ম নেই অথচ সর্বদা কর্তব্য কর্মে ব্যস্ত। তাদেরকে জগতের শীত- গ্রীষ্ম স্পর্শ করতে পারে না। সৃষ্টি –স্থিতি-লয় তাদেরকে বিচলিত করতে পারে না। তারা সর্বদায় ঈশ্বরের জ্ঞান-বিজ্ঞানের ঘরের সাথে যুক্ত হয়ে নির্বিকার চিত্তে কর্তব্য কর্ম করে যায়। শাস্ত্র গ্রন্থ পাঠ করার তাদের প্রয়োজন হয় না – তাদের অন্তরের বেদ সর্বদা খোলা থাকে। সেই জ্ঞানচর্চা তাদের মনকে পবিত্র ও উজ্জ্বল নক্ষত্রে ধারণ করে রাখে। তোমরা বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মযোগী ও জ্ঞানযোগী হয়ে বেদ যজ্ঞ করার জন্যে উৎপন্ন হয়েছো--- এই সত্য কখনো ভুলে যেও না তাহলেই তোমাদের কখনো শাস্ত্র বিধান লঙ্ঘন করার দোষে পড়তে হবে না। তোমাদের অন্তরের বেদ দেখবে সদায় খোলা থাকবে ঈশ্বরের দাসত্ব করার জন্যে। পবিত্র ও উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে শাস্ত্র গ্রন্থ পাঠ করো কেবল ঈশ্বরকে জানার জন্যে ও তাঁর দাসত্ব করার জন্যে। নিজের জন্যে কোনো কিছুই করতে যেও না – সব কিছু তাঁর জন্যে করতে শেখো—তাহলেই শাস্ত্র গ্রন্থের প্রকৃত সত্য জানতে পারবে। নিজেকে জানো—শাস্ত্র গ্রন্থ পাঠ করে, তাহলেই নিজের জ্ঞান-বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে জগতে অদ্ভুত অদ্ভুত কাজ করে ঈশ্বরের প্রিয়পাত্র হয়ে উঠবে তাঁর পরিবারে। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃশান্তিঃ।

Facebook CommentsShowHide
Disqus CommentsLoadHide