[ বেদ যজ্ঞ করে নিজের পোশাক পবিত্র রাখো।]
বেদ যজ্ঞের দিকে যত এগিয়ে যাবে ততই তোমরা
অজ্ঞানের পোশাক খুলে জ্ঞানের শুভ্র পোশাক পড়তে থাকবে প্রকৃতির নিয়মে। এই যজ্ঞ করতে
গিয়ে সদায় সতর্ক থাকবে যাতে তোমার শুভ্র পোশাকে যেন কালি না পড়ে। সদা যে সতর্ক
থাকে নিজের জ্ঞান- বুদ্ধি- বিবেক নিয়ে তার কাপড়ে কেউ রঙ লাগাতে পারে না। কাদা
ছোঁড়াছোঁড়ির খেলায় মত্ত তোমাদের মানবসমাজ। কীভাবে তোমাদের পবিত্র পোশাককে নোংরা-
ময়লা জলে নষ্ট করে দেওয়া যায়,সেই চেষ্টা শয়তানরা সর্বদায় করে যাবে। একটু দুর্বলতা
দেখালেই তোমাদের পবিত্র পোশাকে নোংরা ছুঁড়ে দেবে তখন সেই নোংরা পোশাক পড়ে সারা
জীবন কাটাতে হবে। যে নোংরা দাগ একবার লেগে যাবে জীবনে তা মুছে ফেলা যায় না। সেই
স্মৃতি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বয়ে যেতে হয়। মানব জীবন এমন যন্ত্র দিয়ে তৈরী, তুমি
যা করবে তাই ক্যামেরায় ছবি হয়ে থেকে যাবে, সেই ছবি মুছে ফেলার কোনো উপায় নেই,
ইহকালে ও পরকালে। তাই যে কাজ-ই করো না কেনো খুব সাবধানে করবে, যাতে অশ্লীল কোনো
ছবি পরবর্তীতে তোমাকে লজ্জায় না ফেলে। সর্বদা নিজের পোশাক পবিত্র রেখে যারা চলে
তাদের অশ্লীল ছবি ওঠার কোনো ভয় থাকে না। যারা সর্বদায় ঈশ্বরের জ্ঞান-বিজ্ঞানের ঘরে
বসে কাজ করে, তাদের পোশাকে কোনো দাগ লাগার ভয় থাকে না—তাই তাদের খেয়াল থাকে না কোন
ছবির কথা। তাদের স্মৃতিতে ঈশ্বর ও তাঁর ঘর ছাড়া কোনো কিছুই থাকে না। তাই তাদের
শুভ্র পোশাকে কোনো দাগ কেউ দেখতে পায় না ও তাদেরকে সবার সামনে ইহকালে ও পরকালে
লজ্জিত হতে হয় না। তোমরা বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে বেদ যজ্ঞ করতে এসছো এই কর্মভূমিতে
ও জ্ঞানপীঠে, তাই তোমাদের পোশাক ও বাহন শুভ্র। তোমরা সকলেই শান্তির দূত হয়ে এসেছো।
মহাশূন্যের ন্যায় সৎ- সত্য- উজ্জ্বল- পবিত্র ও উদার হয়ে সর্বত্র সৎ সংঘ গড়ে তোলো।
বিশ্বমানব শিক্ষা নাম তোমরা পেয়েছো সৃষ্টির প্রারম্ভকালে মহাশূন্য থেকে বেদ যজ্ঞ
করে নিজেকে সদায় পবিত্র রাখার জন্যে—যে নামের পবিত্রতা এতটুকু মলিন হয়ে যায়নি।
তোমরা কালের কবলে পড়ে ভুলে গিয়েছিলে আবার তা তোমাদের মঙ্গলের জন্যে পরমপিতা
পরমেশ্বর স্মরণ করিয়ে দিলেন। তোমাদের সমস্ত জ্ঞান-শক্তি-পবিত্রতা –শান্তি- ঐক্য ও
সাম্য এই বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদ যজ্ঞের সাথেই যুক্ত আছে। তাই তোমরা নিজের নামের
পোশাক খুলে ফেলে যখনি ভারতীর সন্তান হয়ে ভারত নামের পোশাক পরিধান করবে তখনি তোমরা
পবিত্র সত্তা হয়ে মুক্ত অবস্থায় বিচরণ করবে। জয় ভারত মাতার জয়।