Home » » বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হও -- তোমাদের সৎ চেষ্টা ও কৌশল নিষ্ফল হবে না।

বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হও -- তোমাদের সৎ চেষ্টা ও কৌশল নিষ্ফল হবে না।


[ বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হও – তোমাদের সৎ চেষ্টা ও কৌশল নিষ্ফল হবে না।]
 মানব সমাজ আগাছায় পরিপূর্ণ হয়ে পড়েছে কলিযুগের শেষ প্রান্তে এসে। কেউ আর নিজের দিব্যশক্তির প্রতি আস্থা রেখে সৎ চেষ্টা ও সৎ কৌশলের দ্বারা জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবো – এই ভরসা রাখতে পারছে না। সৎ পথ ছেড়ে অসৎ পথ অবলম্বন করতে বাধ্য হচ্ছে সামাজিক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে। যতই ভালো পরীক্ষা দিক—পিছন দরজা দিয়ে না গেলে চাকুরী হবে না – এই রোগে সবাই ভুগছে। পার্থিব জগতের সুখ- স্বাচ্ছন্দ্য লাভ করতে গেলে পিছন দরজার মালিকের আশীর্বাদ চাই সর্বত্র। এই সামাজিক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে যুবশক্তি সৎ চেষ্টা ও সৎ কৌশল কাকে বলে ভুলতে বসেছে। তারা আর এগিয়ে আসতে নারাজ সত্যের পথে। তারা আর বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতে চায় না। তারা ভুলে গেছে নিজের ভারত নামের গুরুত্বের কথা। শেষ স্বামী বিবেকানন্দ যুব সম্প্রদায়কে ভারত নামে ডাক দিয়ে জাগ্রত হয়ে নিজের জীবন মায়ের জন্যে বলি দেওয়ার কথা বলেছিলেন। তাঁর ডাকে ভারত তখন জেগে উঠেছিল স্বাধীনতার মন্ত্র বুকে নিয়ে। কিছুটা হলেও সামাজিক ব্যাধি দূর হয়েছিল তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে। কিন্তু এখন দরকার তাঁর মতো হাজার হাজার আহ্বানকারী। যারা এই সামাজিক ব্যাধিকে নির্মূল করার জন্যেই নিজের জীবন উৎসর্গ করবে। যুবশক্তি এগিয়ে না এলে এই ব্যাধি আরো মারাত্মক আকার ধারণ করবে। তোমরা স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে এই সামাজিক ব্যাধিকে দূর করার জন্য সৎ চেষ্টা ও কৌশল অবলম্বন করো। তোমরা এমন মাটি দিয়ে তৈরী- তোমরা যখনি ভারত নাম নিয়ে-এই চেষ্টা ও কৌশল অবলম্বন করে সংগ্রাম শুরু করবে, তখনি দেখবে হাজার হাজার ঘুমন্ত দেবশক্তি তোমাদের সাহায্য ও সহযোগিতায় এগিয়ে আসবে। তোমাদের সৎ চেষ্টা –সৎ কৌশল কোনোদিন নিষ্ফল হতে পারে না। কেনো তোমরা সামাজিক ব্যাধির শিকার হবে—কতিপয় শয়তানি বুদ্ধির মানুষের জন্যে। কেনো তোমাদের শিক্ষা ও ডিগ্রী ব্যর্থ হবে? কেনো তোমরা বেকারত্বের জ্বালা ভোগ করে হতাশায় ভুগবে? এই পৃথিবীর বুকে তো কোনও সম্পদের অভাব নেই। তোমাদের কর্ম সংস্থাপনের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব কার? তোমরা ভোট দিয়ে নেতা- মন্ত্রী করে তাঁদের বেকারত্ব দূর করছো—অথচ তাঁরা তোমাদের বেকারত্ব দূর করবে না তা হতে পারে না। তোমাদের একতা নেই, সেই সুযোগে সুযোগ সন্ধানীরা তোমাদের কাজে লাগিয়ে নিজের আখের গুছিয়ে নিচ্ছে--- তোমাদের ফাঁকি দিয়ে তা কি উপলব্ধি করতে পারছো না? সবাইকে এক মঞ্চে নিয়ে আসার কৌশল করো সৎ ও সত্যের উপর দাঁড়িয়ে, দেখবে সব সামাজিক ব্যাধি নির্মূল হয়ে যাবে সমাজ থেকে। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।

Facebook CommentsShowHide
Disqus CommentsLoadHide