Home » » বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে ভাই বন্ধুকে কাজের যোগ্য করে গড়ে তোলো যাতে সবায় দেশপ্রেমিক হয়ে দেশের জন্যে কিছু করতে পারে।

বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে ভাই বন্ধুকে কাজের যোগ্য করে গড়ে তোলো যাতে সবায় দেশপ্রেমিক হয়ে দেশের জন্যে কিছু করতে পারে।



[ বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে ভাই বন্ধুকে কাজের যোগ্য করে গড়ে তোলো যাতে সবায় দেশপ্রেমিক হয়ে দেশের জন্যে কিছু করতে পারে।]
এ জগৎ হোক আর অদৃশ্য জগৎ হোক একা কেউ সুখী থাকেতে পারে না – একা কেউ রাজত্ব চালাতে পারে না। রাজা হবার জন্যে প্রজা সৃষ্টি করতেই হয়। ঈশ্বর ইচ্ছা করলে একা থাকতে পারতেন। কিন্তু তিনিও একা সুখী হয়ে থাকতে না পারায় প্রজা সৃষ্টির ইচ্ছা প্রকাশ করে মহাশূন্যে তাঁর ঘর নির্মাণ করলেন ও রাজত্ব বিস্তার করলেন। তিনি রাজা হয়ে সকলকে নিজের মতো করেই কাজের যোগ্য করে গড়ে দিলেন নিজ রাজত্বে। তোমরাও ভেবে দেখো তুমি যদি একা জ্ঞান লাভ করে জ্ঞানী হও, তবে সেই জ্ঞানের মূল্য কে দিবে? তুমি যদি তোমার গুণগ্রাহী ভাই- বন্ধু না পাও তবে তোমার জীবনের মুল্য কোথায়? তাই সর্বাগ্রে নিজের মতো করে ভাই- বন্ধুকে কাজের যোগ্য করে গড়ে তুলে রাজত্ব বিস্তার করো বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে। সকলকে নিয়ে যখন তুমি রাজত্ব বিস্তার করবে, তখন তোমার জীবনের মুল্য বেড়ে যাবে। সকলের সুখ- শান্তি-নিরাময় কামনা করে কিভাবে রাজত্ব গড়ে তোলা যায় সেই চিন্তা করতে শিখো- তোমার ঈশ্বরকে দেখে—তাহলেই দেখবে জীবনের সব রত্ন পেয়ে যাবে তাঁর কৃপা লাভ করে। তিনি সবাইকে নিজের মতো করে গড়ে তোলার জন্যেই প্রত্যকের হৃদয়মন্দিরে আত্মারূপে অবস্থান করছেন। সবাইকে নিজের অধীনে রেখে রাজত্ব চালাচ্ছেন। সবার কথা শুনছেন – সবকিছু দেখছেন, নিজের কর্তব্য কর্ম থেকে মুহূর্তের জন্যেও বিশ্রাম নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করছেন না। তাঁর ইচ্ছাতেই সবকিছু চলছে ও হচ্ছে কিন্তু তিনি কিছুই নিজে করছেন না। তোমরাও তোমাদের ভাই-বন্ধুকে বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী রূপে গড়ে তুলে কাজের যোগ্য করে গড়ে তোলো—যাতে সবকিছু তোমাদের ইচ্ছাতেই হয়। তোমরা তোমাদের শুভ চিন্তাশক্তিকে বাড়িয়ে কাজে নেমে পড়ো, দেখবে ভাই- বন্ধু সকলের সাহায্য পাবে, স্বাভাবিক ভাবে। হিংসা- দ্বেষ ভুলে যখনি তোমরা এক ঈশ্বরের পতাকাতলে এসে রাজত্ব বিস্তারের পরিকল্পনা গ্রহণ করবে তখনি অদৃশ্য শক্তি তোমাদের সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে। হাজার হাজার বছর আগে যারা পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়ে সেই জগতে বাস করছেন—তারা এগিয়ে আসবেন তোমাদের সাহায্য সহযোগিতা করতে—কারণ তারাও চান তাঁদের রাজত্বে সৎ- সত্য- সুন্দর ও জ্যোতির্ময় বেদের কর্মী বা বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী। কোন রাজনৈতিক দলের কর্মী – কোন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের কর্মী- কোন সরকারের কর্মী হয়ে তোমরা নিজের মুক্ত সত্তাকে স্বাধীনভাবে কাজে লাগাতে পারবে না। তাই তোমরা নিজেকে বিশ্বমানব শিক্ষার স্বাধীন কর্মী রূপে গড়ে তুলে নিজের ভাই বন্ধুকেও যোগ্য কর্মী করে গড়ে তোলো, দেশের জন্যে এতেই সবার সুখ- শান্তি- বৈভব নিহিত রয়েছে ও দেশের সার্বিক কল্যাণ নিহিত রয়েছে। ওঁ তৎ সৎ।

Facebook CommentsShowHide
Disqus CommentsLoadHide