Home » » বেদ যজ্ঞের মাধ্যমেই তোমরা নিজেকে শাস্তি যোগ্য অপরাধ থেকে মুক্ত রাখো।

বেদ যজ্ঞের মাধ্যমেই তোমরা নিজেকে শাস্তি যোগ্য অপরাধ থেকে মুক্ত রাখো।

[ বেদ যজ্ঞের মাধ্যমেই তোমরা নিজেকে শাস্তি যোগ্য অপরাধ থেকে মুক্ত রাখো।]
কেনো তোমরা শাস্তিযোগ্য অপরাধ করতে যাবে? নিজের কর্তব্য কর্ম থেকে বিরত থাকার মতো মানুষের দ্বিতীয় অপরাধ নেই। বর্তমানে মানুষ এতই ফাঁকিবাজ হয়ে গেছে যে বসে থেকে সময় নষ্ট করবে, তবুও নিজের কর্তব্য কর্ম করবে না – এই ধরণের মানুষের সংখ্যায় বেশি। সরকারি কর্মচারী – বিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষিকা থেকে সর্ব শ্রেণির মানুষের মধ্যে ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা একটা ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। স্কুল- কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা কেবল লেখা-পড়ায় ফাঁকি দিয়ে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করে তা নয়, তারা নিজেদের চরিত্র গঠনে শিথিলতা এনে নিজের জীবনকে ধ্বংস করার অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। কোন কাজটা করা উচিত আর কোন কাজটা করা উচিত নয় এই জ্ঞান থাকলেই মানুষ অপরাধ করা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারে। কেনো আমরা শাস্তিযোগ্য অপরাধ করি বা অপরাধে জড়িয়ে পড়ি? প্রত্যেক মানুষ কাম-ক্রোধ- লোভ-মোহ- মদ ও মাৎসর্য এই ছয়টি শত্রুর ঘরে বাস করে। এই শত্রুদের মানুষের পক্ষে ঘর থেকে তাড়ানো সম্ভব নয়। তবে তাদেরকে বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে দমন করে রাখা সম্ভব নিজের জ্ঞান- বুদ্ধি- বিবেকের দ্বারা। আজ পর্যন্ত পৃথিবীর বুকে মানুষ হয়ে কেউ শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেনি--- তা আমরা গবেষণা করলে জানতে পারবো। যখনি মানুষ মনুষ্যত্বের গুণ হারিয়ে ফেলে তখনি অমানুষ হয়ে ওঠে, ও সে জ্ঞানহারা হয়ে পড়ে। এই জ্ঞানহারা অবস্থায় মানুষ এত দুর্বল হয়ে পড়ে যে বাধ্য হয়ে তখন শাস্তিযোগ্য অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। একটা অপরাধে জড়িয়ে পড়লে তখন অপরাধ করার প্রবণতা মানুষের বেড়ে যায়। এই সময় যদি তার পাশে কোনো সৎকর্মশীল ও সৎ উপদেশ দাতা বন্ধু রূপে থাকে, তবে সে নিজের ভুল উপলব্ধি করতে সক্ষম হবে ও সংশোধিত হয়ে পবিত্র হয়ে উঠতে পারবে। তোমরা বিশ্বমানব শিক্ষার জ্ঞানতরীতে চেপে বেদ যজ্ঞ করে যাও ও সর্বত্র ভ্রমণ করো ও মানুষকে সৎ ও কল্যাণের পথে ডাক দাও। সর্বত্র সৎ সংগঠন গড়ে তোলো—দেখবে অপরাধ করার ব্যাধি থেকে মানুষ চিরতরের জন্যে মুক্ত হয়ে গেছে। এই ব্যাধি কত মারাত্মক আকার ধারণ করেছে তা আদালতগুলিতে—থানাগুলিতে ভিড় দেখলেই বুঝতে পারবে। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।

Facebook CommentsShowHide
Disqus CommentsLoadHide