[ বেদ যজ্ঞ করে তোমরা নিজেদের ছোট ছোট দুর্বলতা- অপরাধ- ভুল- অন্যায় গুলিকে
চিহ্নিত করে সেসব অভিশাপ থেকে মুক্ত হও।]
যারা নিজেকে ভালবাসতে পারে না তারা কখনো কারোও
ভালবাসা আশা করতেও পারে না। মানুষ মাত্রই দোষ গুণের এক ভাণ্ডার জানবে। যারা নিজের
ছোট ছোট দোষগুলি চিহ্নিত করে তা থেকে মুক্ত হবার জন্যে সংগ্রাম চালায় তারাই একদিন
সবার প্রিয় হয়ে উঠে। মানুষ নিজের দোষেই নিজে বিপাকে পড়ে। এই বিপাকে পড়ার পিছনে যখন
সে অপরের দোষ খুঁজতে না গিয়ে নিজের দোষ চিহ্নিত করে তা থেকে মুক্ত হবার জন্যে
সংগ্রাম করে তখনি তার চরিত্রের পরিবর্তন শুরু হয়ে যায়। কথায় আছে আপনি আচরি ধর্ম
অন্যেরে শিখায়। নিজে যা জানো না বা আচরন করো না তা তুমি অপরকে শিক্ষা দিতে পারবে
না। তোমাকে শিক্ষা দিতে হবে নিজের জীবনে পালিত ধর্ম থেকে। তাই নিজের জীবনকে সত্যের
উপর ধরে রাখার জন্যে যে সামাজিক- অর্থনৈতিক- আধ্যাত্মিক ইত্যাদি ভুলগুলি চলার পথে
হয়ে যায় তাকে চিহ্নিত করে প্রতিনিয়ত সংশোধন করে যেতেই হয়—সদা নিজেকে জ্ঞানের আলোকে
উজ্জ্বল করে ধরে রেখে। নিজের বিবেক থেকে জাগ্রত জ্ঞান ছাড়া এই অপরাধগুলি কিছুতেই
অভিশাপ মুক্ত হয় না। আর অভিশাপময় জীবন নিয়ে কেউ শান্তিতে এই সংসারে বাস করতে পারে
না। রোগ- শোক- ব্যাধি- আধি- অভাব- অভিযোগ সমস্তই হলো মানব জীবনের অভিশাপ। এগুলো
সবই আসে নিজের দোষে- এই সত্যকে জেনে নিয়ে যারা এই সব অভিশাপ থেকে মুক্ত হবার জন্যে
চেষ্টা ও সংগ্রাম চালায় তারাই সব বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে যায় যথাসময়ে। তাই প্রথমেই
পিতা- মাতার উচিত নিজের সন্তানকে শিক্ষা দেওয়া যে-- তুমি হলে ঈশ্বরের মন্দির—তোমার
মধ্যে ঈশ্বরের সমস্ত গুণ ও শক্তি আছে। তুমি কেবল নিজের অন্তরের সেই শক্তি ও গুণকে
ভালকাজে লাগাবার জন্যে তৈরী হও। আমরা পিতা- মাতা হয়ে কেবল তোমাদেরকে সেই পরিবেশ
তৈরী করে দিতে পারি মাত্র। হরি ওঁ তৎ সৎ।