Home » » বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে তোমরা নিজে শ্রদ্ধাশীল হয়ে শ্রদ্ধাশীল সমাজ গড়ে তোলো।

বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে তোমরা নিজে শ্রদ্ধাশীল হয়ে শ্রদ্ধাশীল সমাজ গড়ে তোলো।


[ বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে তোমরা নিজে শ্রদ্ধাশীল হয়ে শ্রদ্ধাশীল সমাজ গড়ে তোলো।]
 মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। এই সমাজ চলে বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার উপর ভর করে। যখনি মানব সমাজে এই বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা মানুষের অন্তর থেকে মুছে যায় তখনি মানুষ প্রতারক হয়ে পড়ে এবং একে অপরকে প্রতারিত করে নিজেকে ধনী- মানী- জ্ঞানীরূপে প্রতিষ্ঠা করার বিভিন্ন অপকৌশল আবিষ্কার করতে থাকে। এই সমাজে আর অন্নদাতা, বিদ্যাদাতা, জন্মদাতা, শ্বশুর, অভয়দাতা পিতার প্রতি মানুষের অন্তরের শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস থাকে না- তাঁদেরকে দেবতারূপে মান্যও করে না। এই সমাজে ধাত্রীমা, গর্ভধারিণী মা, অন্নদাত্রী পিসী- মাসী- শাশুড়ী- ভগিনী- পুত্রবধু এরা সকলেই যে নিজের জননী স্বরূপা এই কথা বিশ্বাস করে তাঁদের প্রতি অন্তরের শ্রদ্ধা ধারণ করে রাখতে পারে না। সেই সাথে এই জননী স্বরূপা নারী মূর্তিরও অধঃপতন হয়েছে এই মানব সমাজে। তাঁরাও আর নিজের সত্যে স্থির থাকতে পারছেন না। তাঁরা কেবল নিজের কামনা- বাসনা- সখ- আহ্লাদকে বড় করে দেখতে গিয়ে নিজের গর্ভজাত সন্তানের ঊর্ধ্বে ভৃত্য, শিষ্য, আশ্রিতজন, অনাথ কাউকেই নিজের সন্তানরূপে ভাবতেই পারছেন না। ফলস্বরূপ এই বৃহত্তর সমাজের এক সুন্দর বৃক্ষের মূল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মানুষ সর্বত্র নিজেই নিজেকে নিজের বিশালত্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে এবং নিরাপত্তাজনিত রোগ, হীনমন্যতাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে নিজের আগুনে নিজেই জ্বলে পুড়ে মরছে। মানুষ যখন থেকে নিজের সমাজের এই জীবন্ত ঈশ্বর- ঈশ্বরীদের প্রতি বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা হারিয়ে ঈশ্বরকে নিয়ে জাতি- ধর্ম – সম্প্রদায় তৈরী করে সংগঠন করার এক অপকৌশল শুরু করে দিল এবং সেই সব সংগঠনের শক্তিকেই নিজেদের বাঁচার শক্তি মনে করতে শুরু করলো তখন থেকেই তাদের অধঃপতন শুরু হলো। তারা এখন তাই ভুগছে আসল ঈশ্বরকে ছেড়ে দিয়ে নকল ঈশ্বরকে আরাধনা করার কি ফল? ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।

Facebook CommentsShowHide
Disqus CommentsLoadHide