[ বেদ যজ্ঞ করে হরিভক্ত হও তাহলেই জন্ম-জন্মান্তরের পাপ- উপপাপ নষ্ট হয়ে
যাবে অন্তর থেকে।]
সংসারে যেজন হরিভক্ত হয়ে কেবল বেদ যজ্ঞ করে
চলে সেজন অতি সহজ সরল পথে বিষ্ণুকে নিজের অন্তরে- ভিতরে-বাইরে জানতে পারে। তার
মানব দেহ মন্দির বিষ্ণু মন্দির রূপে উজ্জ্বল প্রভায় প্রজ্বলিত হতে থাকে। এই
মন্দিরে স্বাভাবিকভাবে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে জপ- তপ- যাগ- যজ্ঞ হতেই থাকে। এই
মন্দিরের কর্তা পুনঃজন্ম- মৃত্যু- মোক্ষ ইত্যাদির জন্যে কিছুই করেন না ও ভাবেন না।
তাঁর যে কোন কর্ম অনায়াসে – অবহেলে কিভাবে সফল হয়ে যায় সেদিকেও তাঁর ভ্রূক্ষেপ
থাকে না। তিনি সদায় দেখতে পান তাঁকে বক্ষে ধারণ করে আছেন স্বয়ং দেব নারায়ণ। তিনিই
তাঁর সুদর্শন চক্র দ্বারা তাঁর এই বিষ্ণু মন্দিরের রক্ষা করে চলেছেন। সর্প যেমন
গরুড় দেখলে ভয়ে সঙ্কুচিত হয়ে যায় তেমনি যমলোকের যত সেনা- উপসেনা তাঁরা এই বিষ্ণু
মন্দিরকে দেখে ভয়ে সঙ্কুচিত হয়ে থাকে। যত দেব- দেবতা- দেবসেনা আছেন তাঁরা সদায়
সন্তুষ্ট হয়ে এই বিষ্ণু মন্দিরকে ঘিরে অবস্থান করেন। সর্ব কল্যাণভাজন এই মানব দেহ মন্দিরের দেবতা তখন সকলের কল্যাণময়ী ঈশ্বর হয়ে উঠেন। এই জীবন্ত
বিষ্ণু মন্দির দর্শন করা মাত্র জীবের জন্ম- জন্মান্তরের পাপ উপপাপ সমস্ত অন্তর
থেকে মুছে যায় ও সেই জীব পবিত্র হয়ে মোক্ষলাভ করে গোলকভবনে যাত্রার জন্যে। হরি ওঁ
তৎ সৎ।