[ বেদ যজ্ঞ করতে গিয়ে কারো জন্য অপেক্ষা না করে ভালো কাজে প্রাণ সঁপে দাও-
এতেই জীবনে সফলতা আসবে।]
বেদ
যজ্ঞের আসরে নেমে ভালো কাজে অবশ্যই ডাক দাও সকলকে। কিন্তু কেউ না এলে কারও জন্যে
অপেক্ষা করবে না—একাই সামর্থ্য অনুসারে এগিয়ে যাবে। ভালো কাজ করবো এই ইচ্ছা জাগলে
তা ফেলে রাখা উচিত নয়। যদি সবার জন্য অপেক্ষা করো তবে তোমার জীবন শেষ হয়ে যাবে,
তবুও সেই শুভ কাজ তুমি করতে পারবে না। তোমাকেই নেতৃত্ব দিয়ে ওই কাজ করতে হবে—এই
মনোবল নিয়ে যখন ওই শুভ কাজে প্রাণ সঁপে দেবে তখন দেখবে তোমার আর লোক ও অর্থবলের
অভাব হচ্ছে না। সর্বদিক থেকে তোমার শুভ কাজের জন্য সাহায্য সহযোগিতা চলে আসতেই
থাকবে। তোমারা বেদ যজ্ঞ করতে এসেছো বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে এক একটা উজ্জ্বল
নক্ষত্র হয়ে। তোমাদের জগৎ তোমাদেরকেই তৈরী করে নিতে হবে। তোমরা অফুরন্ত শক্তির
অধিকারী হয়ে পৃথিবীতে উৎপন্ন হয়েছো। একবার নিজেকে জেনে নাও--- দেখবে তুমিও স্বামী
বিবেকানন্দ, গৌতম বুদ্ধ, শঙ্কর, মদালিসা, ভগ্নী নিবেদিতা, নেতাজী সুভাষ,
রবীন্দ্রনাথের ন্যায় শক্তিধর মহামানব হয়ে উঠছো ও সারা বিশ্বকে এক সুত্রে গেঁথে
দেওয়ার সংগ্রামে জয়ী হয়ে সকলের চোখের মণি হয়ে উঠেছো। সংগ্রাম না করে কেউ জয়ী হয়
না। তোমরা যদি ভাবো বিশ্বমানব শিক্ষা পরমপিতা নিজেই পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠিত করে
দেবেন—তাহলে ভুল করে ফেলবে। তোমরা পরমপিতার জ্ঞান-বিজ্ঞানের ঘর থেকে পৃথিবীর বুকে
উৎপন্ন হয়েছো তাঁর নির্দেশ পালন করে বিশ্বমানব শিক্ষাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে।
জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে সাম্যবাদের প্রতিষ্ঠা করার জন্যে। বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী
হয়ে ভুল বুঝবে না ও ভুল পথে পরিচালিত হবে না। সমস্ত অহংকার ত্যাগ করে নক্ষত্রের
ন্যায় নিজ আলোতে আলোকিত হয়ে চলবে ও নিজের জগৎ তৈরি করবে নিজের সম্পদ দিয়ে।
স্বাধীনতার মতো সুখ আর কোথাও নেই – তাই স্বাধীন চিন্তা ধারার প্রতিফলন ঘটাতে পারবে
একমাত্র বিশ্বমানব শিক্ষার মঞ্চে বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে। তোমরা স্বাধীন হও –
দেখবে আর তোমাদের কোনো অভাব থাকবে না – বেদ যজ্ঞ করতে এসে এই মঞ্চে। হরি ওঁ তৎ সৎ।