[ বেদ যজ্ঞের দ্বারা তোমরা তোমাদের গৃহের পবিত্রতা রক্ষা করে চলো, তাতেই দেশের ও দশের শোভা
বর্ধন পাবে।]
বেদ
যজ্ঞ করে জেনে নাও তোমাদের সকলের সৃষ্টি এক পবিত্র সত্তা থেকে।
তোমরা সকলেই যুক্ত রয়েছ তাঁর পবিত্র ঘরের সাথে। যে ছোট ছোট কুটীরে তোমরা বাস করছো
সেটাও তাঁর পবিত্র ঘরের সাথে যুক্ত। যে জীবন নিয়ে তোমরা চলাফেরা করছো সেটাও সেই
পবিত্র সত্তার সাথে যুক্ত। তাই পবিত্রতা তোমাদের গৃহের শোভা জেনে, নিজে পবিত্র
থাকো ও গৃহের সকলকে পবিত্র করে তোলো। গৃহের পরিবেশ যত পবিত্র থাকবে তত তোমরা
পবিত্র জ্ঞান লাভ করে ইহকালে ও পরকালে সুখ সম্পদ ঐশ্বর্য লাভ করবে। তোমরা নিজেদের
জ্ঞান-বুদ্ধি-বিবেককে কাজে লাগাও পবিত্র থাকার জন্যে। বিশাল অট্টালিকা তৈরি করলেই
সেই পরিবেশ পবিত্রতা লাভ করে না।মানুষকে পবিত্র সত্তার সাথে যুক্ত হয়ে পবিত্রতা
লাভ করতে হয়। এই পবিত্রতা মানুষকে মহানন্দলোকে ধারণ করে রাখে। টাকা-পয়সা-ধন- দৌলত
দিয়ে পবিত্রতা ক্রয় করা যায় না। ভালো দামি পোশাক পড়ে মনের অপবিত্রভাব কখনো দূর করা যায় না। মানুষকে জ্ঞান সাগরের
জলে স্নান করে পবিত্র হতে হয় প্রতিনিয়ত। তাই যে গৃহে সর্বদা জ্ঞানের বাতি জ্বলে
সেই গৃহ সদা পবিত্র থাকে, সেখানে কোনো অপবিত্রতা প্রবেশ করতে পারে না। স্কুল,কলেজ,
বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও জ্ঞানচর্চা হয় কিন্তূ সেগুলির অধিকাংশ পবিত্র সত্তার ঘরের
সাথে যুক্ত না থাকায় অপবিত্রতা প্রবেশ করে তাদেরকে অপবিত্র করে তুলেছে। তেমনি
অধিকাংশ বাড়ি পবিত্র সত্তার ঘরের সাথে যুক্ত না থাকায় শয়তানের আড্ডাখানা হয়ে উঠছে।
যেখানে শয়তান একটু অপবিত্র ভাব দেখবে, সেখানেই তারা আড্ডা জমাবে। তাই তো স্কুল,
কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে শয়তানের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে। সেখান থেকে যারা বেরিয়ে
আসছে অধিকাংশ শয়তানি বুদ্ধি নিয়ে এসে নিজেদের গৃহকে অপবিত্র করে তুলছে। মুখে বড়ো
বড়ো কথা বললেও পবিত্র সত্তার সাথে মিলিত হয়ে পবিত্রতা দ্বারা নিজেদের গৃহকে
সুশোভিত করে গড়ে তুলতে পারছে না। হরি ওঁ তৎ সৎ।