[ বেদ যজ্ঞ করে জেনে নাও কে তোমার অন্তর হরণ করে
রেখেছে, কেবল তাঁকেই সন্তুষ্ট করো।]
মানুষ নিজের জ্ঞান- বুদ্ধিকে নিজেই জানে না –
এটাই হচ্ছে তার সবথেকে বড় দুর্বলতা। যদি মানুষ নিজের জ্ঞান- বুদ্ধিকে নিজে জানতো
তাহলে দেখতে পেতো কিভাবে তার অন্তরকে হরণ করে রেখেছে এক অনন্তশক্তি সংযুক্ত সত্তা।
এই সত্তায় সবার অন্তরে বিরাজ করে নিজের লীলা করে চলেছেন এক অদ্ভুত মায়ার পরিবেশ
সৃষ্টি করে। এই সত্তার যে বিশ্বকণা থেকে এই পৃথিবী সৃষ্টি তা পবিত্র ভারতভূমি রূপে
শোভা পেয়ে আসছে মানব- দেব- ঋষিদের লীলাভূমি রূপে। সবার অন্তর হরণ করে তিনি সকলকে
নিজের দিকেই আকর্ষণ করে চলেছেন তাই তিনি সর্ব জীবের হরি। এই হরি নামের সাথে জীবের
সমস্ত পুণ্যতীর্থ যুক্ত হয়ে তার অন্তরের জ্ঞান- বুদ্ধি- বিবেক সহ যুক্তি- তর্ক –
বিজ্ঞানকে যুক্ত করে, এমন এক দর্শন সৃষ্টি হয়ে আছে, তাকে ছিন্ন করে জীবের কোথায়
পালাবার পথ নেই। এই পৃথিবীর মানুষ যে যত খুশী দর্শন – মতবাদ সৃষ্টি করুক তাতে এই
সনাতন ধর্মের কোন পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হয় না। শৈলাদি- সংযুক্ত এই পৃথিবীর
আবির্ভাব যে সুমেরু ও হিমালয়কে বুকে নিয়ে তারাই এই সনাতন ধর্মকে ধারণ করে আছে,
চন্দ্র- সূর্য – গ্রহগণ সহ ব্রহ্মা বিষ্ণু শিব আদি দেবগণকে সাথে নিয়ে। তাই যারা
বেদ যজ্ঞ করে অন্তরের একমাত্র পরমাত্মা কৃষ্ণ হরিকে সন্তুষ্ট করার জন্যেই এগিয়ে
চলে তারাই মঙ্গল ধীমান ও তার পুজার বিধান। হরি ওঁ তৎ সৎ।