[ বেদ যজ্ঞ কামধেনু ও কল্পতরু রূপে মানব জীবনকে কেবল অমৃত প্রদান করে এক
অদ্ভুত আনন্দময় পরিবেশে ধারণ করে রেখে।]
বেদ যজ্ঞ মানুষের জীবনের এক
কল্যাণময় প্রক্রিয়া । এই প্রক্রিয়া অবলম্বন করে যখন মানুষ সত্যমুখী হয়ে পথ চলতে
শুরু করে, তখন তার জীবন সহজ সরল হয়ে যায়। এই সহজ সরল জীবন বড়ই দুর্লভ জীবন। এই
সহজ- সরল জীবন মানুষকে সহজ সরল জ্ঞান দান করে। এই সহজ সরল জ্ঞান কামধেনু গাভীর
ন্যায় কেবল অমৃত ক্ষীর দান করতেই থাকে, বৈদিক জীবন দান করে। একবার কেউ কামধেনু
মায়ের আশীর্বাদে বৈদিক জীবন লাভ করলেই সে বেদ যজ্ঞ করার অধিকার পেয়ে যায় পরমপিতার
নিকট থেকে। পরমপিতা পরমেশ্বর এই বৈদিক জীবনের সাথে যুক্ত হয়ে সেই জীবনকে তখন
কল্পতরু সনাতন বৃক্ষের সাথে যুক্ত করে দেন। একবার এই বৈদিক জীবন সনাতন কল্পতরু
বৃক্ষের সাথে যুক্ত হয়ে গেলে সে জীবন তখন অভাবমুক্ত জীবনে রূপান্তরিত হয়ে যায়।
বৃক্ষের যেমন নিজস্ব কোন কামনা- বাসনা- চাহিদা থাকে না তেমনি আর এই বৈদিক কল্পতরু
বৃক্ষের কোন নিজস্ব কামনা- বাসনা- চাহিদা থাকে না। এই বৈদিক বৃক্ষ তলে যে আসে সেই
কিছুক্ষনের জন্যে হলেও পরম শান্তি লাভ করে জীবন ধন্য করে। কল্পতরু বৃক্ষ তলে
কামধেনু মা পরমশান্তিতে বিশ্রাম করেন ও তাঁর সন্তানদের সবকিছু দিয়ে এক সুরক্ষিত
বলয়ের মধ্যে ধরে রাখেন। তাই এই কলি যুগেও সনাতন কল্পতরু বৃক্ষ তলে কামধেনু মা সুরভী সবার জন্যে অপেক্ষা করছেন,
আসুন আমরা সকলে বেদ যজ্ঞ করে পবিত্র বৈদিক জীবন নিয়ে মায়ের চরণতলে পরাশান্তির
জন্যে সংঘবদ্ধ ভাবে আশ্রয় গ্রহণ করি। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।