[ বেদ যজ্ঞের ন্যায় হিতকর কাজ এ জগতে দ্বিতীয় নাই জেনেই তোমরা এই যজ্ঞ
করো।]
সত্যবাক্য মাত্রই বেদ। একমাত্র সত্য দ্বারাই
মানুষ মানুষের কল্যাণ সাধন করতে পারে। এই বেদবাক্যে বা সত্যের উপর যারা শ্রদ্ধাশীল
নয় তারা নিজেরাই নিজেকে মহাপাপ সাগরে নিমজ্জিত করতে থাকে। যা্রা প্রতিদিন বেদযজ্ঞ
করে না তারা কিভাবে দেব-নিন্দা, গুরু- নিন্দা জনিত পাপ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখবে?
যে ঘরে প্রতিদিন বেদ যজ্ঞ হয় সেই ঘর ঈশ্বরের পবিত্র মন্দির হয়ে বিরাজ করে। কোন
দুরাচার সেই মন্দিরের দিকে দৃষ্টিপাত করতে পারে না। শোক- তাপ- কষ্ট সেই মন্দিরে
প্রবেশ করার সাহস পায় না। এই বেদ যজ্ঞ করার অধিকার মানুষ কিভাবে পেতে পারে? প্রথমে
মানুষকে ঈশ্বরের আশ্রয়ে থেকে অর্থাৎ গুরুর আশ্রয়ে থেকে বেদ যজ্ঞ করার সংকল্প গ্রহণ
করে গুরুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হয়। গুরু বা ঈশ্বরের এই গৃহ বা পাঠশালায় ভর্তি
হয়ে নিজেকে তাঁর উপযুক্ত শিষ্য বা কর্মী করে তোলার জন্যে তারপর সংগ্রাম চালাতে হয়-
সাধনায় সিদ্ধি লাভ না করা পর্যন্ত। ঈশ্বর বা গুরু গৃহে না থেকে কেউ এই গুরুমুখী বা
ঈশ্বরমুখী জ্ঞান লাভ করতে পারে না। বিশ্বজুড়ে গুরুর এই পাঠশালা মানুষকে বেদযজ্ঞ
করার জন্যে আহ্বান করে চলেছে কিন্তু মানুষ এই সদগুরুর বাক্যে কর্ণপাত করেন না। তাই
তাঁরা কেউ তাঁর নির্মিত বিশাল বিশ্বমানব শিক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় যা চিরকাল গুরুগৃহ
নামে পরিচিত সেখানে ভর্তি হয়ে সরাসরি তাঁর নিকট থেকে জ্ঞান লাভ করার সৌভাগ্য পান
না। গুরু বিহীন শিক্ষা আর পিতা বিহীন সন্তান সমান। তাই মানুষকে নিজের উদ্ধারের কথা
নিজেকেই চিন্তা করে, তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তাঁর অধীনে থেকে বেদ যজ্ঞ করার
অধিকার পত্র গ্রহণ করতেই হবে, নচেৎ সব বৃথা। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।