[ বেদ যজ্ঞে মাধ্যমে সৎ সংকল্প গ্রহণ করে সাধনা- চেষ্টা – সংগ্রাম চালাতে
থাকো শুভ সময় এলেই সাধনায় সিদ্ধি লাভ করবে।]
আমরা দেহে যতক্ষণ প্রাণ থাকবে ততক্ষণ কামনা-
বাসনাকে ত্যাগ করতে পারবো না। কিন্তু কামনা- বাসনাকে সৎ সংকল্পের দ্বারা মহৎ করে
তুলতে পারবো। আমাদেরকে যিনি এই পৃথিবীস্বরূপ দেহদান করে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন
তিনি আমাদের জীবন ধারণের সমস্ত রকম উপকরণের ব্যাবস্থা করেই পাঠিয়েছেন। আমরা এই
সত্যকে জেনে যখন যে অবস্থায় যেটুকু জীবন ধারণের জন্যে লাভ করবো তাতেই সন্তুষ্ট
থেকে নিজের সাধনা চালিয়ে যেতে চেষ্টা করবো তখনি বিজয় লক্ষ্মী আমাদের সাথে থাকবেন ও
আমাদেরকে তিনিই ধীরে ধীরে অষ্ট সিদ্ধির পথে নিয়ে যাবেন। আমাদেরকে কিছুই চাইতে হবে
না তাঁর রাজত্বে প্রয়োজনে আমরা সময়মতো সবকিছুই তাঁর কাছ থেকে পেয়ে যাবো। তাই অপরের
ধন- দৌলত- সৌভাগ্য দেখে ঈর্ষা করা কখনো উচিত নয়—সদায় নিজের ভাগ্যকে সবার মঙ্গলের
জন্যেই তৈরী করার সাধনা চালিয়ে যাওয়া উচিত। সদায় মনে রাখা উচিত এই পৃথিবীস্বরূপ
দেহে এই পৃথিবীর সমস্ত উপাদান রয়েছে তাই তোমাকে বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়েই সৎ
সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে সাধনার পথে। সামান্য সংকীর্ণতা অন্তরে থাকলে এখানে কেউ
সিদ্ধি লাভ করতে পারে না। হরি ওঁ তৎ সৎ।