[ বেদ যজ্ঞ করে নিজের দেহ মন্দিরকে পবিত্র বিষ্ণু মন্দির রূপে সবার জন্যে
প্রতিষ্ঠিত করো।]
তোমরা সবায় জীব হলেও কিন্তু তোমাদের হৃদয় মন্দিরে শিব অধিষ্ঠান করছেন। তাই
তোমরা সবায় প্রাণবন্ত হয়ে আছো। এই শিবই ব্রহ্মা হয়ে তোমাদের সৃষ্টি করে চলেছেন ও
রূপ দান করে চলেছেন। আবার তিনিই বিষ্ণু হয়ে তোমাদেরকে, সকলকে পালন করার প্রেরণা
দিয়ে চলেছেন। তাই তোমরা যত নিজের হৃদয়কে বিষ্ণু মন্দির রূপে বিস্তারিত করবে, ততই
তোমরা শিবের আশীর্বাদ লাভ করে নিজের বিশাল রূপ দেখতে পাবে। যিনি সর্বত্র নিজেকে
বিস্তারিত করে রেখেছেন তিনিই বিষ্ণু। ওঁ বিষ্ণু এটাই জীবের পরমপদ ও অক্ষয় মন্দির।
এই মন্দির থেকেই জ্ঞানরূপ রত্ন আলো হয়ে উঠতে থাকে। সেই আলোয় জীবকে বাইরের জগতের সব
কিছু দেখতে- শুনতে- অনুভব করতে- বলতে শিখায় এই বিষ্ণু মন্দিরকে পবিত্র রাখার
জন্যে। যখন তোমরা এই দেহ মন্দিরে আবদ্ধ হও নি, তখন তোমাদের দৃষ্টিশক্তি-
শ্রবণশক্তি- বাকশক্তি- অনুভব করার শক্তি প্রবল ছিল বলেই তোমরা সংগ্রাম করে এই মানব
দেহমন্দির গঠন করার সুযোগ করে নিয়েছো আপন ব্রহ্মশক্তির জোড়ে। তোমাদের সেই
দেহধারণের পূর্বের স্মৃতিশক্তি তোমাদের কাছেই আছে, তা কিন্তু কারোও হারিয়ে যায় না।
কেবল একটু মুক্ত চিন্তা করে নিজেকে বিষ্ণুর মন্দির ভেবে, নিজের দৃষ্টিশক্তিকে
বিস্তারিত করে মন্দিরের সব দরজা সর্বভূতের জন্যে খুলে দাও, দেখবে আর তুমি নিজেকে
আলাদাভাবে দেখতে পাবে না। তাহলেই জানতে পারবে, তুমিই ত্রিনয়ন ও ত্রিনয়নী হয়ে বিরাজ
করছো এই বিশাল বিষ্ণু মন্দিরের অধীশ্বর হয়ে। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।