Home » » বেদ যজ্ঞ করে তোমরা এই পৃথিবীকে প্রেমের স্বর্গ বানাও।

বেদ যজ্ঞ করে তোমরা এই পৃথিবীকে প্রেমের স্বর্গ বানাও।


[ বেদ যজ্ঞ করে তোমরা এই পৃথিবীকে প্রেমের স্বর্গ বানাও।]
অন্তরে যদি প্রেম না থাকে তবে কেউ ধৈর্য-শক্তি লাভ করতে পারে না। আর ধৈর্য শক্তি ছাড়া কেউ কোন সংগ্রামে বা প্রতিযোগিতায় জয়ী হতে পারে না। প্রেমে কোন ছলচাতুরী চলতে পারে না। প্রেমের হাত- পা- দেহ নাই তাই তাকে দেখা না গেলেও তার ভাব-ভাবনা ফুলের মতো পবিত্র ও সৌন্দর্য নিয়ে অন্তরে ফুটে উঠে এবং সে তার সৌগন্ধ নিয়ে  চারদিকে ছড়িয়ে সকলকে মুগ্ধ করে। যেমন শিশুর সরল ভাব ও ফুলের সৌন্দর্য সকলকে মুগ্ধ করে নিজের পাণে সকলকে আহ্বান করে তেমনি এই প্রেমের সরল ভাব ও সৌন্দর্য বিশ্বচরাচরের সকলকে নিজ অন্তরে আহ্বান করে নিজের বিশাল অন্তরে। প্রখর রৌদ্রে মরুভুমির প্রেমে কেউ পড়তে চায় না। কিন্তু প্রকৃতির সুন্দর রূপ দেখলেই মানুষের প্রেমের তৃষ্ণা বেড়ে যায়, তখনি তার অন্তর খুলে যায় প্রেমের রাজত্ব গড়ে তোলার জন্যে। অন্ধকারে আলো জ্বালাবার জন্যে তখন তার অন্তরের প্রেম এক অফুরন্ত প্রাণের শক্তি লাভ করে অনাবিল আনন্দের রাজত্ব গড়ে তোলার জন্যে। এই প্রেমকে দেখেই সবার অন্তরে জেগে উঠে ভক্তির ভাব, এই ভক্তির ছোঁয়া পেয়ে প্রেম আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠে তার রাজত্বে। এই রাজত্বে ভক্তিবিহীন কেউ আর প্রবেশ করতে সক্ষম হয় না তাই এখানে কোন আসুরিক শক্তি এসে প্রেমিক- প্রেমিকার প্রেমে বাধা সৃষ্টি করে যজ্ঞ পণ্ড করতে পারে না। আলো আর অন্ধকারে কখনো প্রেম হয় না, যতই তারা বড় বড় কথা বলে তাদের চাকচিক্যময় জগতের খেলা দেখাক। তেমনি জ্ঞানী আর অজ্ঞানীর মধ্যে কিছুতেই প্রেমের রাজত্ব গড়ার স্বপ্ন সফল হয় না। যতক্ষণ মানুষের অন্তরে অজ্ঞান থাকে ততক্ষণ সেই হৃদয় মনুষ্যত্বহীন পাষাণ হয়ে থাকে। সেই পাষাণে কখনো প্রেমের ফুল ফুটতে পারেনা—সেখানে কেবল জৈব ক্ষুদা- তৃষ্ণা মিটাবার জন্যে বিকৃত প্রেমের আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখা যায়। তাই এসো বন্ধু আমরা সমস্ত ছলচাতুরী ত্যাগ করে বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে মহাসত্যের কোলে বসে এই পৃথিবীকে সবার জন্যে প্রেমের স্বর্গ বানাই।  ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।

Facebook CommentsShowHide
Disqus CommentsLoadHide