[ বেদ
যজ্ঞকে জীবনের হাতিয়ার করে এই জগতে সব কাজ করে যাও তাহলে জাগতিক কোন কর্মফল
তোমাদের স্পর্শ করতে পারবে না।]
এই জগতে ধন- দৌলত
চাওয়া মাত্র তোমাদের জীবনে তিনদিক থেকে চলে আসবে এতে কোন ভুল নেই। কিন্তু বেদযজ্ঞ
করার জন্যে যে জ্ঞান ও মহাপুরুষের সান্নিধ্য যতই ধন-দৌলত তোমাদের থাকুক চাওয়া
মাত্র পাবে না। তাকে হাতিয়ার করার জন্যে তোমাদেরকে জীবনের গভীরে প্রবেশ করে এক
অদৃশ্য শক্তির সান্নিধ্যে আসতেই হবে। তাছাড়া এই হাতিয়ার জীবন সংগ্রাম করার জন্যে
পার্থিব জীবনের কোন সম্পদ দিয়ে কোথাও ক্রয় করতে পারবে না। এই হাতিয়ার ক্রয় করার
জন্যে অবশ্যই তোমাদের কোন না কোন মহামানবের অদৃশ্যশক্তির সান্নিধ্যে আসতে হবে।
তারপর তাঁর কাছে বিভিন্ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। যদি তিনি দেখেন তোমরা সেই
হাতিয়ার সকলের মঙ্গলের জন্যে ধর্মযুদ্ধে ব্যবহার করার উপযুক্ত হয়ে উঠেছো তবেই তিনি
তা তোমাদের গুরুদক্ষিণার মাধ্যমে দান করবেন। এইরূপ মহাপুরুষদের জন্ম এই ধরাতে
কদাচিত হয়ে থাকে, কিন্তু তাঁদের অদৃশ্য আত্মার শক্তি বিশ্বব্যাপী চিরকাল কাজ করে
চলে। এই সত্য দেখার সৌভাগ্য সকলের হয় না কারণ কেউ অদৃশ্য শক্তির উপর ভরসা সহজে
করতে পারেনা। মানুষ যখন এই শক্তির উপর ভরসা করে তখন তার আর বাইরের জগতে বাঁচার কোন
পথ থাকে না। তাই যারা নিজের জ্ঞান বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে আগে
ভাগেই ঐশীশক্তির হাতিয়ার ক্রয় করে নেয়, তারাই ত্রিভুবনকে করায়ত্ত করে ঈশ্বরের
আশীর্বাদ ধন্য হয়ে উঠে। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।