[ বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে তোমরা নিজেকে শ্রদ্ধাশীল করে গড়ে তুলে নিজের
প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে এগিয়ে চলো।]
কাউকে কোন প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সময় নিজের
বিবেককে জিজ্ঞাসা করে দেখবে তা পালন করতে গিয়ে অপরের কোন যেন ক্ষতি না হয়। আর যদি
প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাও তবে তা প্রাণদিয়েও রক্ষা করবে। সবসময় চিন্তা করবে তুমি কোন
মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিলে না তা দিলে তার অন্তরাত্মাকে। মানুষের এই অন্তরাত্মা
পরমাত্মার সাথে যুক্ত। তাই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলে তা তুমি ঈশ্বরের সাথেই ভঙ্গ
করলে। তুমি মানুষের মঙ্গলের জন্যে যত চিন্তা করে এগিয়ে যাবে ততই তোমার অন্তরাত্মা
আনন্দিত হবে এবং তুমি ঈশ্বরের সাথে এক নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। আর যারা
ঈশ্বরের সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলার পথে এগিয়ে যায় তাদের জন্যে তিনিই জপ-যজ্ঞ-
তপস্যা করে চলেন বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে। তাঁর অদৃশ্য শক্তির মহিমা কে লাভ করতে
পারে? নিশ্চয় যে মানুষ তাঁকে নিজের মতো করে চাইবে সেই এই শক্তির মহিমা লাভ করবে।
তিনি মানব জাতিকে বলে দিয়েছেন ইন্দ্রিয়ের মধ্যে আমাকে মন বলে জানবে। এখন মানুষ যদি
সেই মনকে তাঁর গুণে গুণাম্বিত করে না সাজিয়ে তোলে তবে তাঁরা কিভাবে তাঁকে জানবে?
আর তাঁকে যদি মানুষ না জানে তবে তিনি মানুষকে কেনো জানতে আসবেন? ঈশ্বর যেমন নিজের
প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে সবার মঙ্গলের জন্যে বেদযজ্ঞ করে ব্রহ্মাণ্ডকে অনাদি
অনন্তকাল ধরে রক্ষা করে চলেছেন, তেমনি কি মানুষের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে নিজের সনাতন ধর্মকে ধারণ করে সবায়কে
রক্ষা করার ব্যবস্থা করা উচিত নয়? যারা বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে নিজেকে শ্রদ্ধাশীল করে
গড়ে তোলার পথে এগিয়ে চলে তারাই কেবল দেখতে পায় যে তারা নিজেরা ঈশ্বরের
ব্রহ্মাণ্ডব্যাপী যজ্ঞের সাথে যুক্ত। হরি ওঁ তৎ সৎ।