[ বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে তোমরা উপযুক্ত শিষ্য হয়ে কেবল উপযুক্ত গুরু তৈরী করো
দেশকে সমৃদ্ধশালী রূপে গড়ে তোলার জন্যে।]
যে
গুরুর আসনে বসে তার গুরুত্ব কমে যায় নিজ আত্মার কাছে। তাই কখনো গুরুর আসনে বসতে
যাবে না। সবায়কে গুরুর আসনে বসিয়ে তাদেরকে গুরুর ন্যায় অন্তরের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন
করতে থাকবে ঈশ্বর জ্ঞানে অনুগত শিষ্য হয়ে। যখন সকল গুরুর প্রতি তোমার শ্রদ্ধা-
ভক্তি দৃঢ় হয়ে উঠবে তখন দেখতে পাবে সবার মধ্যেই তুমি বিরাজ করছো। সবার মধ্যে বিরাজ
করে সবার হয়েও তোমাদের অন্তরে কোন অহংকার স্পর্শ করতে পারবে না। একেবারে সহজ সরল
মাটির মানুষ হয়ে বিরাজ করবে এই মাটির স্বর্গে অন্তরের সহজ সরল বেদের আলো নিয়ে। এই
অবস্থায় বুঝতে পারবে তোমাদের আত্মা সদায় গুরুর সাথে যুক্ত হয়ে সর্বভূতে ঈশ্বরকে
সদায় দর্শন করে পবিত্র জ্ঞান সাগরে বিরাজ করছেন, ব্রহ্মা- বিষ্ণু –মহেশ্বর- পিতা-
মাতা- বন্ধু- জ্ঞান- বিদ্যা ইত্যাদি রূপ নিয়ে। এই আনন্দলোকে যারা গুরুর আসনে বসেন
তাঁরা কখনো বিরাজ করতে পারেন না। এই আনন্দলোক কেবল শিষ্য হয়ে যারা নিজেকে অমৃতের
সন্তান রূপে জানতে সক্ষম তারাই বিরাজ করে আত্মহংকার বিনাশ করে। হরি ওঁ তৎ সৎ।