[বেদ যজ্ঞ করে দেশের সম্মান সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠা করার জন্যে সংগ্রাম করো
এতেই তোমাদের মর্যাদা সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত হবে।]
ভারত আধ্যাত্মিক শক্তির দেশ। এই দেশকে
আধ্যাত্মিক শক্তি থেকে দুর্বল করার জন্যে হাজার বছর ধরে বহুদিক থেকে আক্রমণ এসেছে।
এ দেশের মানুষকে ধর্মচ্যুত করে দুর্বল করার কৌশল আজও অব্যাহত আছে। মানুষ বুদ্ধিমান
জীব, তারা নিজেদের বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের আখের গুছিয়ে দলভারী করার এই
অপকৌশল যুগ যুগ ধরে চালিয়ে আসছে। এই শ্রেণির মানুষ সত্যমুখী না হয়ে মানুষকে
পথভ্রষ্ট করে ঈশ্বর- আল্লাহ্ - গড ইত্যাদি নাম নিয়ে বিশাল সংগঠন করে চলেছে আসুরিক
শক্তিকে এই পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে। ফলস্বরূপ মানবিক সত্তার দিন দিন
পতন হয়ে চলেছে সর্বদিকে কেবল বস্তুজগতের উন্নতির দিকে এগিয়ে চলার কারণে। মানুষ যখন
নিজের অন্তরের চাকচিক্যতার দিকে লক্ষ্য না রেখে কেবল বাইরের জগতের চাকচিক্যতার উপর
নির্ভরশীল হয়ে পড়ে তখন তারা নিজেদের ধ্বংস নিজেরাই ডেকে আনে এবং প্রকৃতি যে তার
ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে সে দিকে আর খেয়াল রাখতে পারে না। ভারতবর্ষের মানবিক সনাতন
ধর্ম সম্পূর্ণ প্রকৃতি নির্ভর ও বিশ্বাত্মিক নির্ভর হয়ে যুগ যুগ ধরে প্রতিষ্ঠিত
হয়ে আসছে। এই ধর্মকে ধ্বংস করার জন্যে এক শ্রেণির অসুর- রাক্ষস- শয়তান প্রজাতির
মানুষ চিরকাল সংগ্রাম করে চলেছে দেব- প্রকৃতির মানুষের সাথে। যখনি এই পৃথিবীর বুকে
মানুষের সনাতন রূপ ও ধর্ম ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যায় তখনি ভারতমাতা জাগিয়ে তুলেন তাঁর
সন্তানদের এই ধর্ম রক্ষার্থে। চিরকাল এই ভারতবর্ষ তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তির দ্বারাই
বিশ্বমাতার কোল উজ্জ্বল করে তাঁকে রক্ষা করে চলেছে। তাই ভারতমাতার সন্তানদের এখন
এই বিশ্বমাতার সংকট মুহূর্তে সবকিছু দ্বন্দ্ব- দল- হানাহানি- জাতি- ধর্মের অহংকার
ত্যাগ করে ঝাপিয়ে পড়তে হবে সংগ্রামের মঞ্চে নিজেকে বিশ্বমানব শিক্ষার উপযুক্ত
কর্মী মনে করে। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত ভারতমাতার সন্তানদের অমৃতের
সন্তান হয়ে ঝাপিয়ে পড়তেই হবে মায়ের মান- মর্যাদা রক্ষার জন্যে কর্মযোগী –
জ্ঞানযোগী- ভক্তিযোগী হয়ে। আসুন সবায় আমরা নিজ নিজ স্বার্থের কথা – দলের কথা- ধর্মের
কথা ভুলে গিয়ে কেবল ভারতমাতার কথা চিন্তা করে তাঁর অমৃত সন্তান হয়ে উঠি তাঁর ডাকে
সাড়া দিয়ে। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।
