[ বেদ যজ্ঞ করে জটিল- কুটিল অন্তর থেকে মুক্ত হয়ে আমার প্রেমে মশগুল হও।]
আমি জটিল- কুটিল অন্তরের মানুষ পছন্দ করি না। এই
প্রকৃতির মানুষ সর্বদা অপরের দোষ দেখতে পায় নিজের শত অপরাধ তাদের চোখে ধরা পড়ে না।
তারা অপরের সামান্য দোষ- ত্রুটি পেলে তাকে বিশাল আকারে প্রকাশ করে ও অন্যদের চোখে
নিজে সাধু সাজে। এই প্রকৃতির লোকের অন্তরে আমার প্রতি বিশ্বাস থাকে না। আমাকেও
সন্দেহের চোখে এরা দেখতে অভ্যস্থ। এরা কিভাবে জটিল-কুটিল অন্তর থেকে মুক্তি পাবে?
এদের মুক্তির পথ একটায় বাক নিয়ে সাধনা করা—তাছাড়া তাদের জন্যে অন্য কোন পথ খোলা
নাই। যদি তারা নিজের কথা বন্ধ করে কেবল আমার কথা নিয়ে আলোচনা করে, তবে আমি তাদের
অন্তরের ময়লা পরিষ্কার করে দিবো। তারা নিজের তৈরী পথ ছেড়ে আমার তৈরী পথে যখনি চলতে
শুরু করবে, তখনি তাদের জীবন ধারা পালটে যাবে। তখন তারা ধীরে ধীরে পবিত্র হয়ে আমার
জ্ঞানে জ্ঞানী হয়ে উঠবে। যাদের মন জটিলতায় ও কুটিলতায় পরিপূর্ণ তারা নিশ্চয়
নিজেদের ভাবধারা ও চরিত্রের কথা জানে। তারা অপরকে ফাঁকি দিতে পারলেও নিজেকে ফাঁকি
দিতে পারবে না।এসব ব্যক্তি আমাকে ছেড়ে থাকলেও আমি তাদেরকে ছেড়ে থাকতে পারি না –
কারণ আমি তো সবার অভিভাবক। তাই আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, আমার দেওয়া পবিত্র হৃদয়
ও মনকে জটিলতায়- কুটিলতায় পূর্ণ না করে নিজেকে জানো অমৃতের সন্তান রূপে ও পবিত্র
হয়ে আমার জ্ঞান- বিজ্ঞানের ঘরের সাথে যুক্ত হও। তা না- হলে তোমাদের শয়তানী বুদ্ধি
দিন দিন বৃদ্ধি পাবে ও পরিশেষে শয়তান তোমাদেরকে নিয়ে গিয়ে নরককুণ্ডে ফেলবে। যেখান
থেকে মুক্তির আর কোন পথ পাবে না। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।