Home » » বেদ যজ্ঞের দ্বারা সবার সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করো।

বেদ যজ্ঞের দ্বারা সবার সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করো।

[ বেদ যজ্ঞের দ্বারা সবার সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করো।]
আমার বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সকলের সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক। সবাই আমার পরমাত্মার সাথে যুক্ত। আমাকে ছিন্ন করে পালাবার কারো পথ নেই। আমি সবার সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রেখে সকলের সুখ- দুঃখের সাথী হয়ে থাকি। আমার থেকে বড় আত্মীয় জীবের দ্বিতীয় কেউ নাই। আমি এমন কোন জীব নেই জলে- স্থলে- অন্তরীক্ষে যার পাশে দাঁড়াই না ও তার জীবন ধারণের উপকরণ ও খাদ্য তাদের দিই না। যারা জীবন ধারণের উপকরণ ও খাদ্য জীবকে দান করতে পারে তারাই তো জীবের আত্মীয়। তাই আত্মীয়তা রক্ষা করার সহজ পথ জীবন ধারণের উপকরণ ও খাদ্যের সুব্যবস্থা করে দেওয়া আত্মীয়দের জন্যে। যে এই মন্ত্র জানে ও এই মন্ত্র উচ্চারণ করে যজ্ঞ করে যায় তার কোনদিন আত্মীয়দের সাথে বিচ্ছেদ ঘটে না। এই পৃথিবীর সকলেই সকলের আত্মীয়। সকলেই এক প্রাণ থেকে সৃষ্টি। তাই সকলেই সকলের জন্যে প্রাণ উৎসর্গ করতে দ্বিধা করে না। নিজের প্রাণ অপরের জন্য উৎসর্গ করার মতো মহৎ কাজ ও আনন্দ আর দ্বিতীয় থাকতে পারে না। মরতে যখন হবে তখন একটা প্রাণকে বাঁচিয়ে রেখেই মরা উচিত এই জ্ঞান সকলের অন্তরে রয়েছে কিন্তু আত্মরক্ষার্থে সবায় চেষ্টা চালায় প্রাণ ধরে রাখার জন্যে নিজ নিজ দেহে প্রকৃতির নিয়মে। এই আত্মরক্ষার কৌশল যদি জীবকে শিক্ষা না দেওয়া হতো, তবে পৃথিবীর বুকে সাম্য বজায় থাকতো না। পৃথিবীর জীব সব শেষ হয়ে যেতো এক ধাক্কায়। আত্মরক্ষার কৌশল শিখে তা বজায় রেখে সবাই আত্মীয়তা রক্ষা করে চলেছে এ পৃথিবীর বুকে আমার নির্দেশে। যারা আত্মরক্ষার কৌশল জানা সত্বেও তা কাজে লাগায় না তারা কারো সাথে আত্মীয়তা রক্ষা করতে সক্ষম হয় না প্রকৃতির নিয়মে। আত্মরক্ষার কৌশল প্রয়োগ না করে যারা শিশুর জন্ম দেয়, তারা কি ভাবে শিশুর সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখবে? তাই তারা নিজের পাপে নিজে জড়িয়ে পড়ে ও কাউকে আত্মীয়রূপে পাশে দেখতে পায় না। আমি যে তাদের অন্তরে রয়েছি আত্মীয়রূপে, সেটাও তারা বিশ্বাস করতে পারে না, তাই তারা আমাকেও দূরে ঠেলে দেয়—বুদ্ধিহীন বিকৃত স্বভাব নিয়ে। তাই আত্মরক্ষার জ্ঞান যাদের আছে, তাদের আত্মীয়তা রক্ষা করার সহজ পথও জানা আছে আমার রাজত্বে। তারা জানে বিশ্বের সকলেই তাদের আত্মীয়। সকলেই এক প্রাণ ও এক আত্মাকে আশ্রয় করে এই পৃথিবীর বুকে রয়েছে। কিন্তু স্বভাব অনুযায়ী সকলের ধর্ম ভিন্ন ভিন্ন। তাই নিজের ধর্ম নিজেকে রক্ষা করতে হবে—আত্মরক্ষার কৌশল জ্ঞান নিয়ে। যারা আত্মরক্ষার কৌশল জানে না তারা নিজের ধর্মও রক্ষা করতে পারে না এবং আত্মীয়তা রক্ষা করতে জানে না। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।

Facebook CommentsShowHide
Disqus CommentsLoadHide