[ বেদ যজ্ঞ করে
তোমরা কবি- লেখক- সাহিত্যিক হয়ে সত্যকে সুন্দর রূপে প্রকাশ করো।]
যারা আমায় ডাকে আমি তাদেরকেও ডাকি
আমার রাজত্বে এতে কোন ভুল নেই। আমিই মানুষের অন্তরে ভাষা দিয়ে কথা ফোটাই। এই
তত্ত্ব যারা বোধে এনে আমাকে স্মৃতিতে ধারণ করে রাখতে পারে তারা জন্মসিদ্ধ কবি হয়ে
উঠে। তারা আমার প্রকৃতির কোলে বসে আমার ভাষা ও কথা দিয়ে কেবল আমার কথাই বলে যায়। আমার
কথার বাইরে তারা কোনকিছু খুঁজে পায় না। সেই কথার উপর নির্ভর করে তারা সহজপথে
বাকসিদ্ধ কবি- সাহিত্যিক- লেখক হয়ে ওঠে মানব সমাজে। আমি তাদের কণ্ঠে ও কলমে ভর করে
থাকি তাই তাদের কথা ও লেখা কালজয়ী হয়ে অমরত্ব লাভ করে। যারা সত্যকে নিয়ে গবেষণা
করে তারা অতি সহজে কবি, লেখক, সাহিত্যিক হয়ে ওঠে। সত্যকে নিয়ে গবেষণা না করলে কেউ
সত্যকে জানতে পারে না ও প্রকাশ করার শক্তি পায় না। আমি ছাড়া দ্বিতীয় কোন সত্য নেই
এই ব্রহ্মাণ্ডে। আমার সত্য রূপের প্রকাশ ব্রহ্মাণ্ড ব্যাপী ফুটে রয়েছে। সেই রূপ
দেখেই কবিরা মুগ্ধ। তাই তারা সর্বত্র আমাকে দেখতে পেয়ে আমাকেই প্রকাশ করে সুন্দর
রূপ দিয়ে। যারা আমার সত্য রূপ দেখেছে তারা ব্রহ্মজ্ঞানী হয়ে আমাকে প্রকাশ করে
তাদের সাহিত্যের মধ্যে। যারা আমার বিশ্বরূপ দেখেছে তারা বিশ্ববোধে জাগ্রত হয়ে আমার
সেই রূপের প্রকাশ ঘটায় তাদের সাহিত্যে। যারা প্রকৃতির মধ্যে আমার সত্য রূপ দেখেছে
তারা প্রকৃতি প্রেমিক হয়ে তার গুণগান করে। যার অন্তরে শ্রদ্ধা- ভক্তি- বিশ্বাস নেই
– সে শত চেষ্টা করেও জ্ঞান লাভ করতে পারে না। জ্ঞান লাভ করার জন্য হৃদয়কে বিশাল এক
ক্ষেত্রে পরিণত করতে হয়। যে ক্ষেত্রে হাজার হাজার সূর্য প্রকাশ করলেও তা শূন্য হয়ে
থাকে। তোমাদের হৃদয় ক্ষেত্র যত বিশাল করবে জ্ঞান লাভের জন্য তত বিশাল হতে থাকবে তা
অনুভব করতে পারবে আমার এই ব্রহ্মাণ্ডে। তখন দেখবে আমাকে নিয়ে তোমাদের লেখা কোনকালে
শেষ হবে না। আমি তোমাদের পিতা। পিতা হয়ে কখনো পুত্রের অমঙ্গল কামনা করবো না। তোমরা
আমার সন্তান হয়ে আমার সাথে বিবাদ করার জন্যে শয়তানের আশ্রয়ে যেয়ো না, তাহলেই
তোমাদের অন্তরে আমার জ্ঞান কবিত্ব শক্তি রূপে জেগে উঠবে ও তোমরা আমার সন্তান হয়ে
নূতন পৃথিবী গড়ে তুলতে পারবে। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।