Home » » বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে মহামানব- অবতার- নবি তৈরী করো কিন্তু নিজে সাজতে যেও না ।

বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে মহামানব- অবতার- নবি তৈরী করো কিন্তু নিজে সাজতে যেও না ।

[ বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে মহামানব- অবতার- নবি তৈরী করো কিন্তু নিজে সাজতে যেও না।]
ঈশ্বর সকলকে চেনেন ও জানেন। কার অন্তরে কোন স্রোত প্রবাহিত হচ্ছে সব তাঁর জানা। তাঁর চোখকে ফাঁকি দেওয়ার শক্তি জীবাত্মার নাই। তিনি কাকে মহামানব- অবতার- নবি করে এই পৃথিবীর বুকে কাজ করার অধিকার দেবেন, তিনি ছাড়া অন্য কেউ জানেন না। তাঁর মনোনীত মহামানব, অবতার, নবি সর্বদায় এই পৃথিবীকে পাহারা দিচ্ছেন প্রহরী হয়ে। যখন এই পৃথিবী প্রহরী শূন্য হয়ে যাবে তখন আর কেউ মানুষকে আলো দেখাবার জন্যে থাকবে না। এই প্রহরীরা মানুষকে সদায় সৎ ও কল্যাণের পথ দেখিয়ে চলেছেন সদা জাগ্রত হয়ে। এঁরা কেউ নিজের নাম প্রচারের জন্য নিজের কর্তব্য কর্ম করেন না ও লোক সমাজে নিজেকে মহামানব- অবতার- নবি রূপে তুলে ধরে মানুষকে বিভ্রান্তির পথে নিয়ে যান না। মানুষের মধ্যে থেকেই ঈশ্বর যাদেরকে প্রহরীর কাজে নিযুক্ত করেন, তিনি তাঁদেরকে তাঁর জ্ঞান- বিজ্ঞানের ঘর  থেকে পরিশুদ্ধ সত্য বাণী বৃষ্টিধারার ন্যায় অবতীর্ণ করতে থাকেন জীবের কল্যাণের জন্যে। যে সমস্ত প্রহরী এই ধারা পেয়ে নিজেকে ঈশ্বরের অবতার- নবী- মহামানব ইত্যাদি রূপে প্রচার করতে যান সেখানেই শয়তান সেই সত্যের মধ্যে শয়তানী বুদ্ধিকে যুক্ত করে দিয়ে ঐ প্রহরীকে অন্ধকারে নিক্ষেপ করেন। তখনি আর সেই প্রহরী মানুষকে সত্যমুখী করে ধরে রাখার পথ দেখাতে সক্ষম হন না। সেই অবস্থায় কোনটা ঈশ্বরের অবতীর্ণ বাণী আর কোনটা শয়তানের অবতীর্ণ বাণী সেই বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে নিজেই পথভ্রষ্ট হয়ে পড়েন, তাঁর অনুগামীদের নিয়ে। তাই তোমরা বেদ যজ্ঞ করো সত্যমুখী হয়ে, কিন্তু কেউ অবতার- নবী- মহামানব সাজতে যেও না, প্রহরী হয়ে কেবল সত্যকেই পাহারা দিয়ে সবায়কে সত্যের পথ দেখাও ও তোমার অন্তরের ঈশ্বরকে সত্যরস পান করিয়ে সদা তৃপ্ত রাখো। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।  

Facebook CommentsShowHide
Disqus CommentsLoadHide