[ বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে অন্তরের দারিদ্রতা দূর করে ধনী হও।]
ঈশ্বর সবার জন্যে অভাবমুক্ত পূর্ণ ব্রহ্মময়
সত্তা। তিনি সবাইকে পূর্ণ করে অভাবমুক্ত করেই সৃষ্টি করেন। একটা পিপিলিকা তাকেও
পূর্ণ চেতনশীল ও অভাবমুক্ত করেই সৃষ্টি করেন। তাই তাঁর রাজত্বে দারিদ্রতার মতো অভিশাপ
বিরাজ করতে পারে না। তাহলে মানুষ কেনো এই পৃথিবীর বুকে দারিদ্রতার কষাঘাতে জর্জরিত
হবে? যারা ঈশ্বরকে রাজা বানিয়ে তাঁর প্রতিনিধিত্ব করে, তাঁদের জন্যে তো অভাবমুক্ত
জীবন ও অভাবমুক্ত রাজত্ব এই পৃথিবীর বুকে বিরাজ করে। তাই ঈশ্বরের শক্তি ও জ্ঞানই
হচ্ছে মানুষের মহৎ ধন। জ্ঞানের দ্বারাই দারিদ্রতাকে দূর করতে হয়। যার জ্ঞান নেই
তার ধন নেই। বিশাল পার্থিব সম্পদের মালিক হয়েও সে ভিখারী। যে সত্যকে স্বীকার করে
সত্যজ্ঞানে ধীর স্থির সে এই পৃথিবীতে বিশাল সম্পদের অধিকারী।
এই পৃথিবীর বুকে সত্যজ্ঞানধারী মানুষের খুব
অভাব। তাই কেউ অভাবমুক্ত জীবন ধারণ করে ঈশ্বরের প্রতিনিধি হয়ে এই পৃথিবীর রাজা হতে
পারে না। অন্তরের দারিদ্রতা নিয়ে চিরকাল ভিখারী হয়েই থেকে যায়। এই ভিখারীরা
নিজেদের কামনা- বাসনা পূরণ করতেই জীবন শেষ করে ফেলে। কিভাবে তাঁরা নিজের দারিদ্রতা
মোচন করবে ও রাজা হয়ে অপরকে দারিদ্রতা মোচনের পথ দেখাবে? ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ
শান্তিঃ।