[ বেদ যজ্ঞ করে প্রচন্ড ঝড়ের বেগে চলতে
শেখো]
বিশ্বব্যাপী যে বিজ্ঞানের
ঝড় উঠেছে তাতে মানুষের অস্তিত্ব টিকে থাকা কঠিন হয়ে উঠেছে। মানুষ আর প্রকৃতির
সন্তান হয়ে প্রকৃতির কোলে টিকে থাকতে পারবে না। মানুষ হয়ে উঠেছে বিজ্ঞানের সন্তান,
বিজ্ঞানের উপর ভরসা করে এখন তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হচ্ছে। স্রষ্টার সৃষ্টির
প্রতি, তাঁর শক্তির প্রতি ও তাঁর প্রতি মানুষের আর বিশ্বাস নেই। একদিনের জন্য যদি
বিজ্ঞান কাজ বন্ধ করে দেয় –তাহলে বিশ্বব্যাপী হাহাকার পড়ে যাবে। কতদিন এই বিজ্ঞান
চালিয়ে নিয়ে যাবে ইট –পাথর নির্মিত তামাশা পূর্ণ সভ্যতাকে? যেভাবে মানুষ নিজেদেরকে
বিজ্ঞানের চরণে উৎসর্গ করছে ও জীবনকে ঠাট্টা তামাশার জালে জড়িয়ে ফেলছে তাতে তো নিজেদের
ধ্বংস তারা নিজেরাই ত্বরাম্বিত করছে। তোমরা বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে উৎপন্ন
হয়েছো আধুনিক বিজ্ঞানের গতির থেকেও গতি নিয়ে চলার জন্য, প্রচন্ড ঝড়ের গতিতে। তোমরা
প্রচন্ড ঝড়ের গতিতে চলতে না শিখলে সব অচল হয়ে যাবে। মানুষের জন্য বিজ্ঞান, বিজ্ঞানের
জন্য মানুষ নয়। তাই সবার আগে তোমরা মানুষের অন্তরে জাতীয় জ্ঞান, মানবিক মূল্যবোধ,
নৈতিক জ্ঞান ও আধ্যাত্মিক জ্ঞানের প্রসার ঘটাও। তারপরে কম্পিউটার,মোবাইল, ইন্টারনেট
ইত্যাদির জগতে নিয়ে যাও। পৃথিবী যদি অমানুষে ভরে যায়, তবে বিজ্ঞানের অপপ্রয়োগ রোধ
করা সম্ভব হবে না। বড়ো মাপের ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার
অধ্যাপক, শিক্ষক, নেতা-নেত্রী, মন্ত্রী কেউ সমাজের বন্ধু নয়-সবাই হয়ে গেছে
সমাজ শোষক পেশাদার। তোমরা ঝড়ের গতিতে যাও ও যুবশক্তিকে সংঘবদ্ধ করো—বিজ্ঞানকে কাজে
লাগাও আগে সৎ কর্মশীল মানুষ তৈরির জন্যে—তারপর পার্থিব জগতের সুখ সম্পদ এর উন্নতির
কাজে লাগাও। যাদের জন্য সুখ সম্পদ তারা যদি অমানুষ হয় তবে কি সেই সুখ সম্পদের
মূল্য উপলব্ধি করতে পারবে? টি,ভিতে যে ভাবে শিশুদের লোভ লালসার দিকে ঠেলে দিচ্ছে –তারা
তো কোনোদিন প্রকৃত সত্যকে জানতে পারবে না, মানব জীবন লাভ করে। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।