[ বেদ যজ্ঞ করে জেনে নাও জীব আর শিবের মধ্যে ভেদ নাই।]
পরব্রহ্ম পরমেশ্বর সর্বপ্রথম সকলের প্রাণরূপ
সর্বাত্মা হিরণ্যগর্ভকে নির্মাণ করেছেন নিজে এর মধ্যে প্রবিষ্ট হয়ে। তারপর
শুভকর্মে তাকে নিযুক্ত রাখার জন্যে আস্তিক্য বুদ্ধি দান করেন। এরপর শরীরের
উপাদানভূত আকাশ, বায়ু, তেজ, জল ও পৃথিবী – এই পাঁচ মহাভূতের সৃষ্টি করেছেন। এই
পাঁচ মহাভূতের পর পরমেশ্বর মন, বুদ্ধি, চিত্ত ও অহংকার--- এই চারটির সমূদয়রূপ
অন্তঃকরণের রচনা করলেন। পুনঃ বিষয়ের জ্ঞান এবং কর্মের জন্য পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয় ও
পঞ্চকর্মেন্দ্রিয় উৎপন্ন করলেন। তারপর প্রণিগণের শরীরের স্থিতির জন্য অন্নের এবং
অন্নের পরিপাক দ্বারা বল বা শক্তির সৃষ্টি করলেন। এরপর সকলের অন্তরে ভাষা দিয়ে-
সনাতন ধর্মের জ্ঞান দিয়ে- উপাসনার মন্ত্র দিয়ে- সাধনার পথ দিয়ে সকলের নাম- রূপের
রচনা করলেন। এইভাবে যোল কলাযুক্ত এই ব্রহ্মাণ্ডের রচনা করে তিনি জীবাত্মার মধ্যে
প্রবিষ্ট হলেন পূর্ণ হয়ে। তাই জীব দেহ ষোল কলাযুক্ত ঈশ্বর বা শিবের এক ক্ষুদ্র
রূপ। আমরা এই মহাসত্যকে হৃদয় মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করে যত এগিয়ে যাবো ততই আমাদের
আস্তিক্য বুদ্ধির বা শ্রদ্ধার উদয় হতে থাকবে। যারা এই বুদ্ধির আশ্রয়ে না থেকে
অন্যপথ অবলম্বন করে তারাই অবিশ্বাসী – নাস্তিক ইত্যাদি নামে অভিহিত হয়। ওঁ শান্তিঃ
শান্তিঃ শান্তিঃ।
